বগুড়ার চার আসনে স্বতন্ত্র লড়বেন বিএনপি নেতারা

|

ছবি: বিএনপি নেতা জিয়াউল হক, শোকরানা, সরকার বাদল ও বিউটি বেগম

মেহেরুল সুজন, বগুড়া:

দশম জাতীয় সংসদের মতো দ্বাদশেও নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল বিএনপি। তবে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জেলাতেই এবার চারটি সংসদীয় আসনে ভোটের মাঠে থাকছেন বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৪ নেতা। ক্ষোভ, অভিমান এবং অভিযোগ থাকলেও তারা অন্য দলের হয়ে নয়, বরং লড়তে চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েই। ধানের শীষের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী এই প্রার্থীরা।

জানা যায়, ১৯৯৪ সালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক মোল্লার মৃত্যুর পর বগুড়া-৪ আসনে দলীয় মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন তার ছেলে ডা. জিয়াউল হক মোল্লা। এরপরের তিনটি সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়ী হন সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসা এই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তবে ওয়ান ইলেভেনের পর দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর হক মোল্লার। তার অভিযোগ- প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলের জন্য তাদের পরিবারের অবদানকে এখন আর মূল্যায়ন করে না বিএনপি। তাই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে।

জিয়াউল হকের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এরই মধ্যে বগুড়া-২ আসনে সাবেক উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম, বগুড়া-৭ আসনে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার বাদল এবং বগুড়া-১ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক ‍উপদেষ্টা মোহাম্মদ শোকরানা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এই নেতারা বলছেন, দশকের পর দশক ধরে দলের জন্য কাজ করে আসলেও তাদের মূল্যায়ন নেই। জনগণের সাথে সম্পৃক্ত থাকতেই নির্বাচনে লড়তে চান তারা।

এ বিষয়ে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা বলেন, আমাকে বিএনপির কোথাও রাখা হয়নি। আমার বাবা ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, আমি চারবারের সংসদ সদস্য কিন্তু বগুড়া বিএনপির গ্রাম পর্যায়ের কোনো পদেও রাখা হয়নি। আমারও তো আত্মসম্মানবোধ আছে। এ জন্য স্বতন্ত্র নির্বাচন করে দেখিয়ে দিতে চাই জনপ্রিয়তা কতোটুকু।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি গত ১৪ বছরে সব জায়গায় গ্রুপ তৈরি করেছে। তার এলাকাসহ বগুড়ার সবগুলো আসনেই একাধিক গ্রুপ রয়েছে।

বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সরকার বাদল বলেন, নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি ভুল ছিল বলে মনে করি। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনে না থাকার কারণে দলের গতিশীলতা কমেছে। দলের নেতাকর্মী তৈরি হচ্ছে না।

নির্বাচনে যাওয়া বিএনপি’র সাবেক এই নেতাদের অভিযোগ, গত ১০ বছরে ত্যাগীদের দূরে ঠেলে দেয়া হয়েছে। জেলায় জেলায় দলকে পরিকল্পিতভাবে বিভক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা মহিলা দল সাবেক সভাপতি বিউটি বেগম বলেন, উপজেলা নির্বাচন করার কারণে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। পরে সবার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়া হয়েছে ‍কিন্তু আমার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়া হয়নি। অপরাধ যদি এক হয় তাহলে শাস্তি কেন ভিন্ন?

নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, জনগণের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সেজন্য নির্বাচনে এসেছি।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply