বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সম্মিলিত উদ্যোগে কলকাতার কলেজ স্কয়ার প্রাঙ্গণে শুরু হতে চলেছে ১১তম বাংলাদেশ বইমেলা। ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বইমেলা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল হক।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। এসময় ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস জানান, মেলায় বঙ্গবন্ধুর লেখা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বইয়ের ডিসপ্লে থাকবে, যদিও সেটি বিক্রির উদ্দেশ্যে নয়। এছাড়া, সার্বক্ষণিকভাবে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ডকুমেন্টারি চলতে থাকবে মেলা প্রাঙ্গণে। এর মূল উদ্দেশ্য– যারা বঙ্গবন্ধুকে জানতে চান, তাকে নিয়ে গবেষণা করতে চান; তারা যেন উপকৃত হন।
মেলায় বই বিক্রির পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে আলোচনা, কবিতা পাঠ এবং বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। প্রতিদিন বইমেলা চলবে দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে কলকাতায় প্রথম শুরু হয় ‘বাংলাদেশ বইমেলা’। সূচনালগ্নে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গগনেন্দ্র প্রদর্শশালা কক্ষে। প্রথমবার মেলায় অংশ নেয় ১৮টি প্রকাশনা সংস্থা। পরের দুই বছর অংশ নেয় ২২টি প্রকাশনা সংস্থা। ২০১৪’তে মেলাটি স্থানান্তরিত হয় কলকাতার নন্দন চত্বরে। অংশ নেয় ৪২টি প্রকাশনা সংস্থা।
এরপর বাংলাদেশ বইমেলা হয়েছে রবীন্দ্রসদনের পশ্চিম পাশে মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে। অংশ নিয়েছিল ৬৫টি প্রকাশনা। মাঝে প্যান্ডেমিক কারণে এক বছর বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এরপর ২০২২ সালে প্রথমবারের জন্য বাংলাদেশ বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় কলেজ স্কয়ার প্রাঙ্গণে। এবারের আসরও সেখানে বসতে যাচ্ছে।
/এএম
Leave a reply