প্রার্থিতা পেতে ভোটারের স্বাক্ষরে জালিয়াতি, চাঁদপুর-১ এ বাতিল ৩ প্রার্থীর মনোনয়ন

|

প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে ১ ভাগ ভোটারের তালিকার স্বাক্ষরে গড়মিল-জালিয়াতি করা হয়েছে। এতে চাঁদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক ভোটার স্বাক্ষর করতে না জানলেও তাদের সই ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি নিজেরাও জানেন না সেইসব ভোটার।

চাঁদপুর-১ আসনে যে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন চান্দোয়াপাড়া এলাকার ষাটোর্ধ্ব মরিয়ম বেগম। তিনি নিরক্ষর, লেখাপড়া জানেন না। অথচ চাঁদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম হোসেনের ভোটারের তালিকায় রয়েছে তার স্বাক্ষর। শুধু মরিয়ম বেগম নন, অনেকের সাথেই একই ঘটনা ঘটেছে।

ভোটার তালিকায় যাদের স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে, তাদের সাথে কথা বলেই জানা গেলো, অনেকেই স্বাক্ষর দেননি। তাদের স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে, তা নিজেরাও জানেন না তারা। এমনকি স্বাক্ষর নিতেও আসেনি কেউ। তাই এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এসব সাধারণ মানুষ।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তারা বলছেন, প্রার্থীরা যে ভোটার তালিকা দিয়েছে, তা যাচাই-বাছাই হয়েছে। তদন্তে ধরা পড়েছে জালিয়াতি। তাই স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী গোলাম হোসেন, রাহাদ চৌধুরী ও শওকত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর-১ আসনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার নাজমুল হাসান বলেন, তদন্তে জানা গেছে এসব ভোটার স্বাক্ষর দেননি। এই তদন্তের বিষয়টিই আমরা রিটার্নিং অফিসারকে দিয়েছি।

চাঁদপুরের রিটার্নিং অফিসার কামরুল হাসান বলেন, ভোটার স্বাক্ষর দেননি মর্মে যাচাই-বাছাই করে সেই রিপোর্ট আমাকে দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী সেসব প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলযোগ্য বলে গণ্য হয়েছে।

যদিও এ বিষয়ে আপিল করবেন জানিয়ে মনোনয়ন বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এনবিআরের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেন, আমি এখনও নিজেকে সরকার দলের একজন প্রার্থী মনে করি। আমার মনোনয়ন বৈধ, এ সংক্রান্ত আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সেগুলো আমি নির্বাচন কমিশনে সরবরাহ করেছি।

চাঁদপুর-১ আসনটি কচুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে মনোনয়ন টেকেনি ৫ জনের। বর্তমানে আসনটিতে প্রার্থী আছেন চারজন।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply