বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৪০ দশমিক ৪ ওভারে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিকুর রহিম। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় সেশনে দেখা গেছে এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য। ‘অভূতপূর্ব’ দৃশ্যের কথা কেন বলা হচ্ছে? কারণ, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার এই আউটের শিকার হলেন।
সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং করতে নেমে দলের বিপর্যয় রুখতে শাহাদাত হোসেন দিপুর সাথে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় সেশনে কাইল জেমিসনের করা সেই ওভারের চতুর্থ বলটি ব্যাকফুটে খেলেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। বল ব্যাটে লেগে মাটিতে পড়ে বাউন্স খেয়েছিল (স্টাম্পের দিকে যাচ্ছিল না)। ইচ্ছাকৃতভাবে বলটি ডান হাত দিয়ে ধরে ফেলেন ৩৫ রানে ব্যাট করা মুশি। তৎক্ষণাৎ ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা। তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন।
ছয় বছর আগে হলে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট হতেন মুশফিকুর রহিম। তবে ২০১৭ সালের পর এই আউট আর নেই ক্রিকেটের আইনে। সেটি বদলে এখন হয়ে গেছে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’। আর ইচ্ছাকৃতভাবে বলটি হাত দিয়ে ধরার কারণে কপাল পুড়লো বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের।
ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হলেন মুশফিক। টেস্টে এই আউটের শিকার হয়েছেন মাত্র দুজন। ১৯৫১ সালে ওভাল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম এভাবে আউট হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ওপেনার লেন হাটন। আর আজ আউট হলেন বাংলাদেশের মুশফিকুর।
ক্রিকেটের আইনে ৩৭.১.১ ধারায় এই আউট সম্পর্কে বলা হয়েছে, ব্যাটার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তার শব্দ বা শারীরিক কর্ম দ্বারা ফিল্ডিং সাইডকে বাধা বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন, তবে তিনি আউট হবেন।
৩৭.১.২ ধারায় বলা হয়েছে, ব্যাটার যে হাতে ব্যাট ধরা নেই, সেই হাত দিয়ে যদি বল ধরেন, তবে এই আউট হবেন। কিন্তু যদি চোটের হাত থেকে বাঁচতে বল ধরেন, তবে তিনি আউট হবেন না।
/এএম
Leave a reply