ঘরে বাইরে চাপের মুখেও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে মরিয়া নেতানিয়াহু

|

একদিকে হামাসের সাথে লড়াই, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ আর প্রশাসনিক বিবাদে চাপের মুখে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজায় ইসরায়েলি হামলার দু’মাস পার হতে চললেও নেই সংঘাত বন্ধের কোনো কার্যকর উদ্যোগ। নেতানিয়াহু উল্টো আরও বেশি মনোযোগী হয়েছেন নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে। ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নেতানিয়াহু বিরোধী মনোভাব বাড়ছে সামরিক বাহিনীতেও।

সাধারণ ইসরায়েলিদের বিক্ষোভে উত্তাল তেল আবিবের রাজপথ। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে চলছে এই আন্দোলন।

পবিত্র আল আকসা মসজিদ দখল, ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন ও নিপীড়নের জবাবে গেল ৭ অক্টোবর ইসরাইলি ভূখণ্ডে আকস্মিক অভিযান চালায় হামাস।

ইসরায়েলে গেল ৭ দশকে সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলার পর প্রশ্নের মুখে পড়ে দেশটির নিরাপত্তা এবং নেতানিয়াহু প্রশাসনের দক্ষতা। বিক্ষুব্ধরা বলছেন, হামলার ২ মাস পার হলেও এখও উদ্ধার হয়নি সব ইসরায়েলি জিম্মি। প্রতিনিয়তই হামাসের রকেট হামলার শিকার হচ্ছে সাধারণ ইসরায়েলিরা। প্রাণের ঝুঁকিতে ছুটছেন ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যেও। কীভাবে হামাসের সাথে চলা যুদ্ধ শেষ করা হবে সে বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই নেতানিয়াহুর। লক্ষ্যহীন এই অভিযান কতদিন চলবে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

তেল আবিব ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইউরিয়ল অ্যাবোলফ বলেন, যুদ্ধের দুই মাস পার হলেও কীভাবে এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে সে সংক্রান্ত কোনো পরিকল্পান নেই নেতানিয়াহুর। উল্টো বিরোধী মতকে দমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকাটাই এখন তার কাছে জরুরি। লক্ষ্য-উদ্দেশ্যহীন একজন প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ৭ অক্টোবর যা হয়েছে তা গেল ৩০ বছরের ডিভাইড অ্যান্ড রুলের ফলাফল। পশ্চিম তীর এবং গাজাকে পৃথক ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে দীর্ঘ সময়। ফলে সেখানে জন্ম নিয়েছে উগ্রপন্হার। যার পরিণতি ভোগ করছে সাধারণ ইসরায়েলিরা।

চাপ বাড়ছে পশ্চিমা দেশগুলো থেকেও। এর আগে পশ্চিমা দেশগুলোতে এতটা ইসরায়েল বিরোধিতা দেখা যায়নি। তারওপর তেল আবিবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে নতুন চাপে নেতানিয়াহু প্রশাসন।

যদিও নেতানিয়াহুর দাবি, নিয়ন্ত্রণে আছে সার্বিক পরিস্থিতি। যেকোনো মূল্যে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার বিষয়েও প্রত্যয়ী তার সরকার।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply