আয় ও ব্যাংকে জমা বেড়েছে আ স ম ফিরোজের, কমেছে ঋণ

|

সারাদেশ ডেস্ক:

গত ৫ বছরে আয় ও ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ বেড়েছে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজের। এ সময় উল্লেখযোগ্য হারে ঋণের পরিমাণও কমেছে। সেই সঙ্গে শেয়ার বাজারে অন্তুর্ভুক্ত নন এমন একাধিক কোম্পানির শেয়ারের মালিক হয়েছেন তিনি। এছাড়া, আওয়ামী লীগ দলীয় এই সংসদ সদস্যের স্ত্রী ঢাকায় ফ্ল্যাট ও গাড়ির মালিক বনেছেন। ফিরোজপত্নীও শেয়ার বাজারে অন্তুর্ভুক্ত নন এমন কোম্পানির শেয়ারের মালিক এখন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইসিতে দেয়া আ স ম ফিরোজের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। হলফনামা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ দলীয় এ সংসদ সদস্য বছরে আয় করেন ১ কোটি ৬১ লাখ ৫ হাজার ২৮৪ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ তিনি আয় দেখিয়েছেন ১ কোটি ২৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮০ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত থেকে আয় দেখিয়েছেন ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৪ টাকা। আর সংসদ সদস্য হিসেবে বছরে পারিতোষিক ও ভাতা পান ২০ লাখ ১০ হাজার টাকা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় বছরে আ স ম ফিরোজের আয় ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৯৫ হাজার ৪১৫ টাকা। সে হিসেবে বছরে এখন তার আয় বেড়েছে ৩১ লাখ টাকারও বেশি।

অস্থাবর সম্পদ হিসেবে এই সংসদ সদস্যের নগদ টাকা রয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৫৪৮ টাকা। ব্যাংকে রয়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ৩১৬ টাকা। এফডিআর রয়েছে ২ কোটি টাকা। পটুয়াখালী জুট মিলসে ১৪ লাখ ১১ হাজার ৯০০ টাকার শেয়ার রয়েছে তার। ফাতিহা হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনস্টিটিউটে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।

আঠারোর ভোটের আগে সাবেক এই চীফ হুইপের নগদ ও ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১২ লাখ ২৩ হাজার ৬০৩ টাকা। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ ৩ হাজার ৮৬৫ টাকায়। ৫ বছর আগে কোনো কোম্পানির শেয়ারের মালিকও ছিলেন না তিনি।

১ কোটি ২৩ লাখ টাকার দুইটি গাড়ি, ২০ হাজার টাকার অলংকার, ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং সাড়ে ৪ লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে আ স ম ফিরোজের।

স্থাবর সম্পদ হিসেবে তার কৃষি জমি রয়েছে ২ একর। মূল্য হিসেবে অজানা বলা হয়েছে। ৩১ শতাংশ অকৃষি জমি রয়েছে, এর দাম দেখানো হয়েছে ১৬ হাজার ৭২৩ টাকা।

ঢাকার বারিধারা ও বাউফলে একটি করে দালান রয়েছে আ স ম ফিরোজের। এর মধ্যে বারিধারার দালানের মূল্য দেখানো হয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫ টাকা। যা ৫ বছর আগে নির্মাণাধীন ছিল। আর বাউফলেরটি মূল্য হিসেবে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, রয়েছে একটি পিস্তল, যেটির মূল্য ৩০ হাজার টাকা।

আর আ স ম ফিরোজের ওপর নির্ভরশীরদের মধ্যে ব্যাংকে তার স্ত্রীর জমা আছে ১১ লাখ ৯২ হাজার ৬৩৯ টাকা। আর নগদ টাকা আছে ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯১০ টাকা। এফডিআর রয়েছে ৪০ লাখ টাকার। ফাতিহা হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনস্টিটিউটে বিনিয়োগ রয়েছে ৪৯ লাখ টাকা। পায়রা পাওয়ার কোং জেনারেশনে শেয়ার আছে ২০ লাখ টাকার। ২১ লাখ টাকার গাড়ি আছে ১টি। অলঙ্কার রয়েছে ১২ ভরি। তবে কোন ধরনের অলঙ্কার তা বলা হয়নি। ১ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। আর দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকার উত্তরায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যেটির মূল্য হিসেবে দেখানো হয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা। গত সংসদ নির্বাচনের আগে এই ফ্ল্যাট ছিল না। এছাড়া গাড়িও ছিল না। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে দেয়া হলফনামায় কোনো কোম্পানিতে স্ত্রীর বিনিয়োগের তথ্যও দেয়া ছিল না। তখন স্ত্রীর নামে ৪০ ভরি স্বর্ণ দেখালেও এবার দেখানো হয়েছে মাত্র ১২ তোলা।

এছাড়া, পূর্বের ২৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেছেন আ স ম ফিরোজ। বর্তমানে তার ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৪১ টাকা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply