ইসরায়েলের তাণ্ডবে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে গাজার জনপদ

|

ছবি: রয়টার্স

গাজায় নির্বিচার ইসরায়েলি আগ্রাসনের কেন্দ্র এখন উত্তর জাবালিয়া ও খান ইউনিস। হামাস সদস্যদের সন্ধানে মরিয়া ইসরায়েলি বাহিনী বাড়ি বাড়ি ঢুকে চালাচ্ছে তল্লাশি। হামাসের একাধিক আস্তানা ধ্বংসের কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘আইডিএফ’। দাবির পক্ষে প্রকাশ করেছে ভিডিও। জাবালিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের পথে তেল আবিব, বলছে এমন কথাও। খবর বিবিসির।

তবে বিশ্ব গণমাধ্যমে মিলছে বেসামরিক প্রাণহানি আর মানবিক বিপর্যয়ের খবর। উত্তর গাজার আল আওদা হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে আইডিএফ সেনারা। ধ্বংস করেছে অ্যাম্বুলেন্স। শরণার্থী শিবিরসহ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় চলছে মুহুর্মুহু আক্রমণ। দক্ষিণে খান ইউনিসেও অব্যাহত বোমা হামলা ও স্থল অভিযান। ভারি বোমাবর্ষণের শিকার আল আমাল হাসপাতাল, ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের সদর দফতর, ইউরোপিয়ান গাজা হাসপাতাল।

ইসরায়েলের চিফ অব জেনারেল স্টাফ হার্জি হালেভি বলেন, প্রতিদিন অগ্রসর হচ্ছে সেনারা। হতাহতের শিকার হচ্ছে সন্ত্রাসীরা। অনেকে আত্মসমর্পন করছে। হামাসের পতনের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এখনই তাদের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করা উচিত।

খান ইউনিস থেকে বাসিন্দাদের রাফাহ শহরের দিকে যাওয়ার নির্দেশনা দিলেও ৩০ দফা হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত প্রধান দুটি সড়ক। আরও অন্তত এক মাস খান ইউনিসে অভিযান চলবে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে সাধুবাদ জানাই। অন্য দেশগুলোরও বোঝা উচিত, যুদ্ধ বন্ধের মাধ্যমে হামাস নির্মূল সম্ভব নয়। সংগঠনটি নির্মূলসহ লক্ষ্য অর্জনে অভিযান চালিয়ে যাবে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েলি বাহিনীকে জবাব দিচ্ছে হামাস যোদ্ধারা, এমন দাবি কাশেম ব্রিগেডের। সম্প্রতি হামাসের সশস্ত্র শাখা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে, একজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে ইসরায়েলের চালানো অভিযান ব্যর্থ হয়। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ইসরায়েলি সেনাদের সাথে গুলি বিনিময়, সামরিক যানের ওপর হামলার দৃশ্য। গাজা সিটিতে লড়াইয়ের চিত্রে দেখা যায় হামাসের সহযোগী সংগঠন ইসলামিক জিহাদকেও।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply