‘বিয়ন্ড সাইলেন্স: ইনভেস্ট টু প্রিভেন্ট ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন অ্যান্ড গার্লস’ শীর্ষক আলোচনা সভা হয়ে গেল রাজধানীর গুলশানের একটি সম্মেলন কেন্দ্রে। এতে অংশ নেন নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন পেশার মানুষেরা। সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বিনিয়োগের ধরন ও গুরুত্ব।
অতীত ও বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে আলোচকরা নারীদের বিভিন্ন প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। বলেন, নারীকে নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে। কারণ, সময়ের সাথে বদলাচ্ছে পরিস্থিতি। মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ছে। তারা বলেন, আমরা এই ন্যারেটিভ (নারীর প্রতি বৈষম্য) সহজেই পরিবর্তন করতে পারি। কিন্তু মাঝে মধ্যে মনে হয়, আমাদের একটা ‘মেন্টাল ব্লক’ রয়েছে।
এসময় বক্তারা নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ক্ষেত্রে আইনি সহায়তার দিকগুলো তুলে ধরেন। বলা হয়, নারী ও শিশু আইনের অপব্যবহারও হচ্ছে। আলোচনায় উঠে আসে সাইবার নিরাপত্তার কথাও। বক্তাদের একজন বলেন, নারীদের রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিসংখ্যান ঘেঁটে জানা যাচ্ছে যে, এখন পর্যন্ত দেড় লাখ মামলা ঝুলে আছে।
সভায় আরেক জনের বক্তব্য, যখন ধর্ষণ হয়, নারীদের প্রতি সহিংসতা হয়; সেটা নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। কিন্তু যারা বড় বড় পদে দায়িত্বরত থাকেন, তাদের এসব ইস্যুতে কথা বলতে দেখি না আমরা। আরেক বক্তা বলেন, ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে শেখাতে হবে যে, ছেলে-মেয়ে উভয়ই সমান। তাহলে এ ব্যাপারে মানুষ আরও বেশি সচেতন হয়ে উঠবে। নারীর নিরাপত্তায় প্রতিটি রাস্তায় যেন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়, এ ব্যাপারেও গুরুত্ব দেন তারা।
বক্তাদের আলোচনার পর প্রশ্নোত্তর পর্ব দিয়ে শেষ হয় এই আলোচনা সভা।
/এএম
Leave a reply