কোনো বাস্তবতা যদি তৈরি হয় বা কোনো মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনার প্রস্তাব আসে, তবে তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। জানান, নির্বাচনের আগে এ সভা আর হবে কি না, তা নির্ভর করছে প্রয়োজনের ওপর।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা বলেন।
মাহবুব হোসেনকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তফসিল ঘোষণার পর জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া অন্য কোনো সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা নিতে পারে কি না। উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বলেন, ‘কোন আইনের কথা বলছেন? সেটি স্পষ্ট করলে উত্তর দেয়া সহজ হত’। আলোচ্যসূচিতে থাকা বিষয়গুলো কেন জনগুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে না, সাংবাদিকদের কাছে সেটাও জানতে চান তিনি।
পেঁয়াজ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, সেটিও জানতে চান সাংবাদিকরা। সচিব জানান, আনুষ্ঠানিক আলোচনা না হলেও সংশ্লিষ্টদের আগেই এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা অতিমুনাফা করার চেষ্টা করছেন, তাদের আইনের আওতায় নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
মার্চে দুর্ভিক্ষ বা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়। তবে, এ বিষয়ে কেউ কথা বলেননি বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এক প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি ডিবি কার্যালয়ে ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে যে আলোচনা চলছে, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। এ বিষয়টিও আলোচনায় ওঠেনি বলে জানান সচিব।
মাহবুব হোসেন জানান, ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ)-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে খসড়া নীতিমালার অনুমোদন দেয়া হয়েছে সভায়। সামুদ্রিক পর্যটন নীতিমালারও অনুমোদন দেয়া হয়। সমুদ্র তীরে ডক বা জেটি বানাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালার অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। স্বেচ্ছাসেবীদের কাজকে আরও ভাল করার জন্য এটি করা হয়েছে। তাদের সুরক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিষয়টিও থাকবে। এছাড়া আইনগত কোনোদিক থাকলে সেটিও সমাধান করা হবে।
/এনকে
Leave a reply