জলবায়ু সম্মেলনের শেষ মুহূর্তে দর কষাকষি, অভিযোজনে অর্থায়ন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি

|

আহমেদ রেজা, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে:

এবারের জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন হলেও মৌলিক অভিযোজন খাতে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের চেয়েও কম অর্থ মিলেছে। শেষ মুহুর্তের আলোচনায় চলছে অভিযোজন, প্রশমন আর এবার যুক্ত হওয়া ক্ষতিপুরণ তহবিলে অর্থ যোগানের দর কষাকষি। সম্মেলনের শেষ দিনে কতখানি অর্থের যোগান হবে তা নিয়েও কিছুটা শঙ্কা আছে বাংলাদেশের।

অবশ্য জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সংবাদ সম্মেলনে অভিযোজনসহ ক্ষতিপূরণ খাতে গুরুত্ব দিতে ধনী দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধে এবারের কপে অনেক আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও সময় লাগবে। তবে ধনী দেশগুলোকে বলতে চাই, আপনারা অভিযোজন ও ক্ষতিপূরণ খাতেও অর্থায়ন বৃদ্ধি করবেন।

এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয় ক্ষতিপূরণ তহবিল। এখন পর্যন্ত যোগান হয়েছে প্রায় ৮শ’ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অভিযোজন খাতের তহবিলে ৩শ’ মিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এখন পর্যন্ত জমা হয়েছে ১শ’ ৩৪ মিলিয়ন ডলার।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, নভেম্বরের ৩০ তারিখ যে ঘোষণা দেয়া হলো এবং যে টাকা দেয়া হলো এটা কিন্তু পরিষ্কার হয়নি। আজ হয়তো শেষ সিদ্ধান্ত হবে। কিছু চমক থাকার সম্ভাবনা আছে। আমার ভয় হচ্ছে, আমাদের জন্য যেটা জরুরি সেটা (অভিযোজন) বোধয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনও বাংলাদেশ অভিযোজন খাতে অর্থায়নের দাবি জানাচ্ছে। ক্ষতিপূরণ তহবিল অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা অভিযোজন খাতকে উপেক্ষা করে নয়।

পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন) মীর্জা শওকত আলী বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের মূল ফোকাস অভিযোজন খাতে ছিল এবং থাকবেও। অভিযোজনকে গুরুত্ব দিতে হবে বেশি এবং এই খাত থেকে অর্থ যেন কোনোভাবে লস অ্যান্ড ড্যামেজে নিয়ে যাওয়া না হয়। একই অর্থ তারা ঘুরিয়ে লস অ্যান্ড ড্যামেজে দেখাবে আমরা তা চাই না।

এছাড়া, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক অভিযোজন খাতে বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার আগ্রহ জানালেও বাংলাদেশ তা অনুদান হিসেবে চায় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply