সিনেমার কোনো চিত্র নয়। এমন মারামারির ঘটনা সত্যিই ঘটলো ফুটবল মাঠে। তুরস্কের সুপার লিগে মাঠে ঢুকে রেফারি হালিল উমুতকে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেন আঙ্কারাগুচু ক্লাবের সভাপতি ফারুক কোচা। কালশিটে পড়া চোখ নিয়েই মাঠ ছাড়েন ৩৭ বছর বয়সী রেফারি হালিল উমুত। খবর বিবিসির।
এদিন আংকারায় রিজেসপোরের বিপক্ষে লড়ছিলো আঙ্কারাগুচু। ফারুক কোচার দল ৯৭তম মিনিটে গোল হজম করে। ফলে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। এরপরেই ঘটে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার পর তুরস্কের ফুটবল লিগকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন।
এই ঘটনাকে ফুটবলের ওপর আক্রমণ স্বরূপ দেখছেন টিএফএফ। তাই তো এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের ওপর সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে ফেডারেশন। দেয়া হবে সর্বোচ্চ শাস্তি। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’এ তিনি লেখেন– খেলাধুলা হলো শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। সহিংসতার সঙ্গে খেলাধুলা যায় না। তুরস্কের ক্রীড়াঙ্গনে এমন সহিংসতা আমরা মেনে নিতে পারি না।
এদিকে এমন ঘটনাকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলেছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো। তিনি বলেন, আমাদের সমাজ বা খেলাধুলায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ম্যাচ পরিচালনাকারী ছাড়া ফুটবল চলতে পারে না। রেফারি, খেলোয়াড়, সমর্থক ও কর্মীদের নিরাপদ এবং সুরক্ষিত থেকে খেলা উপভোগ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আমার আহ্বান, খেলার নিয়ম-কানুন যেন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয় এবং সর্বস্তরে সম্মান করা হয়।
যেই কথা, সেই কাজ। অভিযুক্ত ক্লাব সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের বিচার মন্ত্রী ইলমাজ টুঙ্ক। তার ভাষ্য, দায়িত্বে নিয়োজিত একজনকে আহত করার দায়ে ফারুক কোচা ও সন্দেহভাজন আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা বক্তব্য নেয়ার পর তাদের গ্রেফতার করেন। এমন ঘটনার তদন্ত চলছে।
এদিকে বর্তমানে হাসপাতালে আছেন রেফারি হালিল উমুত। জানা গেছে, ভেঙ্গে গেছে তার হাড়। আপাতত চিকিৎসা চলছে তার।
/এএম
Leave a reply