খুলনা ব্যুরো:
পরিত্যক্ত ভবনে দুর্গন্ধের সূত্র ধরে বেরিয়ে আসে কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি বিক্রির ঘটনা। ধরা পড়েছে বিক্রেতাসহ ৪ জন। ঘটনা জানাজানির পর তোলপাড় খুলনা।
প্রাণিকল্যাণ আইনে মামলার পর মহানগর দায়রা জজ আদালতে নেয়া হয় ৪ জনকে। এরই মধ্যে বিরিয়ানি বিক্রির ঘটনায় গ্রেফতার ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক।
যমুনা টিভিকে, কুকুর জবাই থেকে শুরু করে বিক্রির বর্ণনা দিয়েছে তারা। আদালত প্রাঙ্গণে যমুনা টিভির মুখোমুখি হয় তারা। জানিয়েছে- কুকুর জবাই থেকে বিরিয়ানী বিক্রি পর্যন্ত-পুরো কাজের বর্ণনা।
জানতে চাইলে আদালত প্রাঙ্গণে গ্রেফতারকৃত একজন বলেন, চীনা নাগরিকদের কাছে সরবরাহের কথা বলে কুকুরের মাংস চাওয়া হয়। কেজি প্রতি ৫০০ টাকা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় সেই অসাধু গোষ্ঠী। এরপর তারা রাস্তা থেকে কুকুর ধরে ওই পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণের পর তা রান্না করে বিক্রি করত।
আরেকজন জানায়, এ পর্যন্ত সে তিনটি কুকুর জবাই করেছে। একটি তার নিজের বাসার। অপর দুটি বন্ধুর বাসার ও রাস্তার। তারপর মাংস দিয়ে বিরিয়ানিও তৈরি করেছে।
খালিশপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, দেড় মাস ধরে তারা এ কাজ করছে বলে জানিয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া চামড়া ও হাড় দেখে পুলিশের ধারণা, তারা বহুদিন ধরে এ কাজের সাথে যুক্ত। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে, বুধবার খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একটি পরিত্যক্ত ভবনে কুকুর জবাই ও মাংস প্রক্রিয়া করার সময় ৩ কিশোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পরে তাদের দেয়া তথ্যে ভ্রাম্যমাণ বিরিয়ানি বিক্রেতাকে আটক করে পুলিশ।
এটিএম/
Leave a reply