ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

|

ফাইল ছবি

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে উড়িয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে মারুফ মৃধার পর ব্যাটিংয়ে আরিফুল ইসলামের ঝড়ে উড়ে গেছে ভারত। আরিফুল খেলেন ৯০ বলে ম্যাচ জেতানো ৯৪ রানের ইনিংস। ভারতের দেয়া লক্ষ্য ৪৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় টাইগার যুবারা।

আগামী রোববার (১৭ ডিসেম্বর) আরব আমিরাতের বিপক্ষে ট্রফির লড়াইয়ে নামবেন মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা।

১৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এতে এই রানও পাহাড়সম মনে হচ্ছিলো টাইগারদের জন্য। এদিন ওপেনার জিসান আলম ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। দলীয় ২ রানের সময় লিম্বানির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। দলীয় ২১ রানে তিওয়ারির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিন নম্বরে নামা চৌধুরী মো. রিজওয়ান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আশিকুর রহমান শিবলী এই ম্যাচে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৭ রানে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার রানআউটে কাটা পড়েন। তার বিদায়ে ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ভয় ধরায় টাইগার শিবিরে।

এরপরই ম্যাচের হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। এই জুটির ১৩৮ রানে ভর করে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ঝড়ো ব্যাটিং করা আরিফুল সেঞ্চুরির দিকেই এগুচ্ছিলেন। তবে ব্যক্তিগত ৯৪ রানের সময় লিম্বানির বলে শাহারনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ইনিংটি খেলতে ৯০টি বল মোকাবিলা করেন তিনি। ৯টি চার ৪টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস।

১৭২ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশ পরের উইকেট হারায় ১৮৪ রানে। শেষ করে আসার সুযোগ পেয়েও মাত্র ৯ রানে ফিরে যান শিহাব জেমস। আর জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতেই বিদায় নেন ম্যাচের হাল ধরে খেলা আহরার আমিন। ব্যক্তিগত ৪৪ রানে তাকে ফেরান তিওয়ারি।

এর আগে, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি ওভালে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি।

ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। টাইগার পেসাররা ১৩ রানের মধ্যেই তুলে নেন ভারতের তিন ব্যাটারকে। এরপর প্রিয়াংশু ও শচিন দাস মিলে সেই চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন। তবে সেই জুটিকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি টাইগার পেসার রোহানাত বর্ষন। তার বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন শচিন।

ইনিংসের ১৬তম ওভারে আবারও ভারতীয় শিবিরে আঘাত হানেন বর্ষন। এবার তুলে তুলে নেন প্রিয়াংশুকে। এক বল পরেই আরভেলি আভানিস কাটা পড়েন রান আউটে। এতে দলীয় ৬১ রানেই ৬ উইকেট হারায় ভারত। আর বাংলাদেশ ম্যাচে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করে।

তবে মুশির খান ও মুরুগান অভিষেক জুটিতে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় ভারত। চাপ সামলে ৮৪ রান আসে এই জুটি থেকে। ৬০ বলে অর্ধশতকের দেখাও পান মুশির খান। তবে এরপর তার ইনিংসকে আর লম্বা করতে দেননি টাইগার অধিনায়ক মাহফুজুর। ব্যক্তিগত ৫০ রানেই সাজঘরে পাঠান মুশিরকে।

তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা সাওমি পান্ডেও দাঁড়াতে পারেননি উইকেটে। মাত্র ১ রানেই ফেরেন তিনি। তবে অন্যপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন মুরুগান। ৬৪ বলে অর্ধশতক তুলে নেয়া এই ব্যাটার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চার ও দুই ছয়ে। শেষ ব্যাটার হিসেবে নামা তিওয়ারি ৬ রানে সাজঘরে ফেরায় ৪২ দশমিক ৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় ভারতের যুবারা।

বাংলাদেশের হয়ে মারুফ মৃধা চারটি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া, বর্ষন ও পারভেজ জীবন দুইটি করে এবং অধিনায়ক রাব্বি শিকার করেন একটি উইকেট।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply