রাশিয়া-ফিনল্যান্ড সম্পর্কে উত্তেজনা

|

Russia-Finland Tension

ছবি: রয়টার্স।

বাড়ছে রাশিয়া-ফিনল্যান্ড সম্পর্কে উত্তেজনা। ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদানের পর থেকেই উত্তপ্ত দু’দেশের সম্পর্ক। এবার সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক ঘাঁটি তৈরির ঘোষণা দিয়ে সেই উত্তাপ আরও বাড়ালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটনের সাথে নতুন চুক্তিতে সই করেছে ফিনল্যান্ড। যার আওতায় রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশটিতে সেনা মোতায়েন ও অস্ত্র মজুদ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। ২ বছর আগে, ন্যাটোতে যোগদান ইস্যুতেই বাঁধে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।

ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান ইস্যুতে দীর্ঘদিন উত্তপ্ত ছিলো মস্কো-কিয়েভ সম্পর্ক। হুমকি-হুঁশিয়ারি আর পাল্টাপাল্টি সামরিক মহড়ায় সেই উত্তাপ বাড়তে বাড়তে এখন রূপ নিয়েছে যুদ্ধে।

এদিকে, ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার পরই রাশিয়ার সাথে থাকা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে হেলসিংকি। তৈরি করছে দীর্ঘ কাঁটাতারের বেড়াও। এমনকি সম্প্রতি, অবৈধ অভিবাসীর নজীরবিহীন অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে সীমান্ত বন্ধ করেও দিয়েছে দেশটি।

ফিনল্যান্ডের সাথে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে রাশিয়ার। আর তাই, প্রতিবেশিদের এমন পদক্ষেপ মোটেও ভালোভাবে নেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দিয়েছেন, ফিন্যলান্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক ঘাঁটি তৈরির ঘোষণা।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, তারা ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে টেনে নিয়েছে। ফিনল্যান্ডের সঙ্গে কি আমাদের কোনো বিরোধ ছিলো? ২০ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়েই তাদের সাথে আঞ্চলিক সমস্যাসহ সব বিরোধ মিটে গেছে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে বেশ সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। আগে কোনো সমস্যা না থাকলেও এখন সমস্যা হবে। কারণ আমরা লেনিনগ্রাদ সামরিক জেলা তৈরি করবো। সেখানে আমাদের সামরিক ইউনিট জড়ো করবো।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিফেন্স কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট (ডিসিএ) চুক্তি করেছে ফিনল্যান্ড। এর ফলে, দেশটির ১৫টি জোনে সেনা মোতায়েন ও অস্ত্র মজুতে কোনো বাধা থাকবে না ওয়াশিংটনের। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতেও, পুতিন অবশ্য জানিয়েছেন ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশে হামলা চালানোর ইচ্ছে নেই রাশিয়ার।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply