‘যুদ্ধবিরতি’ ইস্যুতে গাজায় আশার আলো দেখা যাচ্ছে কি?

|

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা কথা বলছেন ইসরায়েলি কর্নেল অলিভিয়ের রাফোভিচের সাথে। ছবি: এপি

কাতারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে মিসর পাড়ি জমিয়েছিলেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) একইদিন দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসেছিলেন মোসাদ ও সিআইএ প্রধান। বিভিন্ন পক্ষের এমন কূটনৈতিক তৎপরতায় দেখা গিয়েছিলো আশার আলো। আবারও গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের সম্ভাবনাও বেশ জোরালো হয়েছিল।

তবে এসব দৌড়ঝাপেও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। মধ্যস্ততাকারীদের নানামুখী প্রচেষ্টায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি বাস্তবায়নে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে, তবে সেসব বৈঠক থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য আসেনি কোনো সুখবর। উল্টো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বার্তা, আপাতত নেই চুক্তির কোনো সম্ভাবনা। তিনি বলেন, বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো আশার কথা শোনাতে পারছি না। তবে আমরা চাপ তৈরি করে যাচ্ছি।

ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট কয়েকদিন আগেই সাময়িক যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখনও অনড় এ ব্যাপারে। আগ্রাসন অব্যাহত রেখেই উদ্ধার করতে চান জিম্মিদের। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত বর্বরতা থামাতে নারাজ তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবো। হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে যুদ্ধ। বিজয় অর্জন করেই থামবো। কেউ যদি মনে করে, আমরা যুদ্ধ থামিয়ে দেবো; তবে সে বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে রয়েছে। লক্ষ্য পুরোপুরি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই থামবে না। হামাসের কাছে এখন দুটো পথ খোলা– আত্মসমর্পণ, নয় মৃত্যু।

এদিকে হামাসের স্পষ্ট বার্তা, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনো চুক্তি করবে না গোষ্ঠীটি। হামাস নেতা ওসামা হামাদান বলেন, সকল পক্ষকেই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। দখলদাররা হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত বন্দি বিনিময়ে কোনো আলোচনা নয়। শত্রুরা অবগত আছে, এই আগ্রাসন থেকে তাদের কোনো লক্ষ্যই অর্জন হবে না। তাই এসব বন্ধে এখন সবার নজর দেয়া জরুরি।

এদিকে, সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতা বন্ধে দুপক্ষের অবস্থানই নমনীয় করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে মধ্যস্ততাকারীরা। এখন কেবলই অপেক্ষা– কবে হবে এই যুদ্ধের অবসান?

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply