বছরের শেষ সময়টায় কাজের চাপ বাড়ে ছাপাখানাগুলোতে। নির্বাচনের কারণে এ বছরে সেই ব্যস্ততা বেড়েছে কয়েকগুণ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাপাখানাগুলোতেও মালিক-শ্রমিকদের যেনো দম ফেলার ফুরসত নেই। ভোটের সময় ঘনিয়ে আসলে কাজ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন মালিকরা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ছাপাখানাগুলো এখন আরও কর্মচঞ্চল। ভোটের আমেজ রাজনীতি মাঠ থেকে ছড়িয়েছে ছাপাখানায়ও। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিটি প্রেস প্রার্থীদের পোস্টার-লিফলেট ছাপাতে এখন ব্যাপক ব্যস্ত সময় পার করছে।
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এ চাপ বেড়েছে আরও। প্রতিদিনই নতুন নতুন অর্ডার আসছে বলে জানান ছাপাখানা সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, নির্বাচনের এই সময়টাতে পোস্টার ও লিফলেটের চাহিদাই বেশি। প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে অর্ডার আসছে।
বছরের এই সময়ে এমনিতেও বই-পুস্তক, ডায়েরি আর ক্যালেন্ডার ছাপানোর চাপ থাকে। এর সাথে এবছর যোগ হয়েছে ব্যানার-পোস্টারের কাজ। দিনরাত দম ফেলার ফুরসত নেই ছাপাখানা কর্মীদের।
এদিকে, কাগজ-কালির দাম জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। তাই কাজ বাড়লেও মুনাফার অংক নগণ্য বলে দাবি মুদ্রণ সংশ্লিষ্টদের।
এনিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস আলম বলছেন, কাগজের দাম এখন প্রায় দ্বিগুণ বললেই চলে। কাগজের দাম বাড়লেও গ্রাহকের পরিশোধিত অর্থের পরিমাণ সেই তুলনায় বাড়েনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ছোটবড় মিলিয়ে ৩১টি ছাপাখানা রয়েছে। নির্বাচন আর বছরের শেষ দিকে এখন কর্মব্যস্ত প্রায় সবগুলোই।
এসজেড/
Leave a reply