নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর আজই প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে মাঠে নামবেন প্রার্থীরা।
অন্যান্য দিনের তুলনায় তাই আজকের নির্বাচনী প্রচারে দেখা যাবে ভিন্নতা। বহু প্রার্থীর দেখা মিলবে মসজিদে। জুমার নামাজে তারা চাইবেন মুসল্লিদের দোয়া ও ভালোবাসা।
গত দুদিনে গণসংযোগ আর প্রচারণায় সরগরম ছিলো নির্বাচনী মাঠ। নগড়জুড়ে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিছিল আর পথসভায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। সকাল থেকে রাত অব্দি মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে গিয়ে নিজ মার্কায় ভোট চেয়েছেন তারা।
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চালাচ্ছেন গণসংযোগ। দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। কেউ কেউ বলছেন, এ দফায় নির্বাচিত হলে শেষ করবেন আগেরবারের অসমাপ্ত কাজ। প্রচারণায় কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে মাঠে আছেন তারাও।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম জারি করা নির্বাচনী বিধি বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর দেয়া প্রবিধানের সর্বশেষ সংশোধনীর ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনী আচরণবিধিতে করনীয় কী কী, তা তুলে ধরা হলো—
- পোস্টার, লিফলেট বা পেইন্টিং নিষিদ্ধ: দেয়াল, গাছ, ল্যাম্পপোস্ট বা যানবাহনে কোনো পোস্টার লাগানো বা সাঁটানো যাবে না। দেয়াল বা যানবাহনে যেকোনো ধরনের ছবি আঁকাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
- যানবাহন ব্যবহার করে মিছিল নিষিদ্ধ: মোটরসাইকেল কিংবা বাস, ট্রাক ও নৌকার মতো যানবাহন ব্যবহার করে মিছিল করতে প্রার্থীদের নিষেধ করা হয়েছে।
- প্রচারণার বিধি-নিষেধ: প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। গেট বা তোরণ নির্মাণ, চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা কিংবা ৪০০ বর্গফুটের বেশি স্থান নিয়ে কোনো প্যান্ডেল করা যাবে না। কোনো ধরনের আলোকসজ্জা কিংবা সড়ক, জনগণের চলাচলের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না। প্রার্থীর ছবি বা প্রচারণামূলক বক্তব্যসহ কোনো পোশাক ব্যবহার করে কিংবা ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না। উসকানিমূলক বা মানহানিকর বক্তব্য দেয়া যাবে না। পক্ষে বা বিপক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে কোনো বলপ্রয়োগ বা অর্থ ব্যয় করা যাবে না।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার শাস্তি অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড।
/এএম
Leave a reply