স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:
রংপুরের পীরগঞ্জে অসহযোগ আন্দোলনের লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পীরগঞ্জের বড় আলমপুর ইউনিয়নের পত্নীচড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপির এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় পত্নীতলা বাজারে লিফলেট বিতরণ করছিলো উপজেলা বিএনপি এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় সেখানে নৌকার প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রচারণা মিছিল নিয়ে আসে। একইসাথে দু’পক্ষ স্লোগান দেয়া শুরু করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। উভয়পক্ষই লাঠিশোঠা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আশরাফ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক এবং ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাপ মিয়ার মাথা ফেটে গেছে। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে, এ ঘটনায় বড় আলমপুর ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ক শরিফুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বড় আলমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
রংপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মিলু সরকার বলেন, উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করছিলেন তারা। হঠাৎ করে নৌকার প্রচারণা মিছিল তাদের বহরে ঢুকে যায়। এর জেরে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে তাদের ৭ জন আহত হয়েছেন। ৩ জনের মাথা ফেটে গেছে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জনগণ এক বিএনপি নেতাকে আটক করে পুলিশকে দিয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
/এনকে
Leave a reply