‘যে পুলিশ কথা হুনবো না, ওই পুলিশরে পরদিন থানায় রাহুম না’

|

ছবি: আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর :

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে ওই পুলিশ সদস্যকে থানায় না রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাদারীপুরের কালকিনির এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার এমন বক্তব্যের ৪৮ সেকেন্ডর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

বক্তব্য ভাইরাল হওয়া ওই নেতার নাম কামরুল হাসান ওরফে সেলিম। তিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং একই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

ভিডিওতে কামরুল হাসানকে বলতে শোনা যায়, আমরা হলাম ড. আবদুস সোবহান গোলাপের কর্মী, আমরা আওয়ামী লীগের কর্মী। আমাদের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে চোখটা খুলে ফেলতে হবে। আবার কেউ যদি কিছু বলে পা ভেঙে ফোন দিবেন, চতুর্দিক দিয়ে ধরে ওকে শেষ করে দেয়া হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। পুলিশ আপনাগো কথা হুনে না? যে হালার পুলিশ কথা হুনবো না, ওই হালার পুলিশরে পরদিন থানায় রাহুম না। কথা দিয়া গেলাম।

এদিকে, নির্বাচনী প্রচারণায় নৌকার পক্ষের লোকজনের এমন বক্তব্য আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম। দুপুরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সোহেল রানা।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের হাকিমুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাদারীপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের পক্ষে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন তার কর্মী কামরুল হাসান।

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। ব্যবস্থা নিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগটি পাঠানো হয়েছে।

এএস/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply