২০২৩ সালটাও ছিল লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, আর্লিং হাল্যান্ডদের অর্জনের উপাখ্যান। বিশ্বকাপ জয়ের কারণে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস এর সেরা ফুটবলার হয়েছেন আর্লিং হালান্ড। আর মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫৪ গোল করেছেন ৩৮ বছর বয়সী পর্তুগীজ তারকা রোনালদো।
দূর হতে যদি দেখ চাহি, পারিবে না চিনিতে আমায়। হে বন্ধু বিদায়। বছর শেষে রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’র ছায়া বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। বিশেষ করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবছরটাও যেভাবে পার করলেন তা শুধু অবিশ্বাস্যই নয়, অচিন্তনীয়ও! এই ৩৮ বছর বয়সেও যেন রুপকথার রাজার মতো দুর্বার-অপ্রতিরোধ্য তিনি। কাতার বিশ্বকাপে বাজে পারফরমেন্স কিংবা আল নাসরের ১ম মৌসুমের পর অনেকেই যখন ভেবেছিলেন রোনালদোর ক্যারিয়ার শেষ; ঠিক পরের বছরই সৌদি প্রো লিগে একের পর এক গোল করেছেন এই তারকা।
আল নাসরের হয়ে দ্বিতীয় মৌসুমে করেছেন সর্বোচ্চ ৫৪ গোল। ৩৮ বছরের রোনালদো যেন ২৫ বছরের এমবাপ্পের চেয়েও ক্ষুধার্ত, হিংস্র। পুরো বছরে সবচেয়ে বেশি গোলের সুবাদে পুরস্কার পেয়েছেন । পেছনে ফেলেছেন ৫২ গোল করা বায়ার্ন মিউনিকের হ্যারি কেইন ও এমবাপ্পেকে।
অবশ্য এমন কীর্তি এবারই প্রথম না রোনালদোর জন্য। ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৫ বার এ তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন রোনালদো। ২০১১, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি গোল করেছিলেন রোনালদো। ৭ বছর বিরতির পর ২০২৩ সালে আবার শীর্ষ গোলদাতা হলেন সিআরসেভেন।
২০২৩ সালে ৮ম ব্যালন ডি’ অর জয় করেছিলেন লিওনেল মেসি। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জেতা আর্লিং হাল্যান্ডকে পাশ কাটিয়ে প্যারিসের জমকালো মঞ্চে মেসির হাতে পুরষ্কার দেখে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। যদিও উয়েফা বর্ষসেরার বিচারে ঠিকই হাল্যান্ড মেসিকে হারিয়েছিলেন।
বছরের একেবারে শেষদিকে মেসিকে আরও একবার পেছনে ফেলেছেন হাল্যান্ড। আর্জেন্টিনার মহাতারকাকে টপকে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস এর সেরা ফুটবলার হয়েছেন নরওয়েজিয়ান তারকা।
এলএমটেন বঞ্চিত হলেও তার কোচ লিওনেল স্কালোনি জিতেছেন বর্ষসেরা জাতীয় দলের কোচের পুরস্কার। আর মেসির সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা পেয়েছেন বর্ষসেরা ক্লাব কোচের পুরস্কার। ম্যানসিটিকে ট্রেবল জেতানোর সুবাদে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তিনি।
/আরআইএম
Leave a reply