বিশ্বজুড়ে যখন বর্ষবরণ উৎসব, গাজায় তখন ধ্বংসযজ্ঞ

|

ছবি: এএফপি

বর্ণিল আতশবাজির বিস্ফোরণে দেশে দেশে বরণ করে নেয়া হয়েছে নতুন বছরকে। আর তখন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আর বোমার বিস্ফোরণে প্রকম্পিত গাজার আকাশ। বিশ্বজুড়ে যখন চলছে উল্লাসের আনন্দধ্বনি, তখন গাজাজুড়ে স্বজন হারানোর হাহাকার।

রোববার রাতে নববর্ষ উদযাপনের মধ্যেও গাজায় বর্বর হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণ, দুই অংশেই চলে বিমান হামলা। ২৪ ঘন্টায় প্রাণ গেছে আরও দেড়শ ফিলিস্তিনির।

এক ফিলিস্তিনি বলেন, আমাদের আবার কীসের নববর্ষ! স্বজন হারিয়ে কোনোরকমে বেঁচে আছি। এখনও পরিবারের অনেক সদস্য নিখোঁজ রয়েছে আমাদের। আরেক ফিলিস্তিনির ভাষ্য, আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়েছি। নিহত হয়েছে আমার ভাই ও মেয়েজামাই। এরপর কীভাবে নতুন বছর উদযাপন করা হয়?

হামলায় এলাকা ছাড়ছেন সাধারণ মানুষ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, নতুন করে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। গাজার একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটছেন তারা। হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে গাজার বিভিন্ন স্থানে।

এদিকে, নতুন বছরে গাজায় হামলার নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। সামরিক বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দেয়া হয়েছে আরও কঠোর অভিযানের ঘোষণা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, ২০২৪ সালে আমরা নতুন পরিকল্পনায় অভিযান চালাবো। এ লক্ষ্যে রিজার্ভ সেনা মোতায়েনের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, আরও কঠোর ও কঠিন হামলার লক্ষ্য আমাদের।

ইসরায়েলের জোরালো অভিযানের মাঝেই রোববার (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ব্যাপক রকেট ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে হামাস।

সোমবার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৭শ’ ফিলিস্তিনি।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply