দ্বাদশ নির্বাচন: শামীম, শাম্মী ও সাদিকের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

|

ছবি: শাম্মী, শামীম ও সাদিক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে পারবেন কি-না এমন ৯ জনের বিষয়ে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন সর্বোচ্চ আদালত। সাদিক আবদুল্লাহ, শাম্মী আহমেদ এবং শামীম হকের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরাও রয়েছেন এই তালিকায়।

জানা গেছে, ৯ জনের মধ্যে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়া তিন প্রার্থী শুনানি রয়েছে। এছাড়া ভোটের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর করা আবেদনের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন ৬ প্রার্থী।

ভোটের মাঠে ফিরতে আবেদন করেছেন বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং নোয়াখালী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিন।

আর ভোটের মাঠ থেকে বাদ দিতে আবেদন করা হয়েছে, ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক, যশোর-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী এনামুল হক বাবুল, ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিক, গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ, সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান এবং লালমনিরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে।

সাদিক আবদুল্লাহ:
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন আসনটির নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। পরে ইসি তার প্রার্থিতা বাতিল করে। তবে হাইকোর্টে রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পান সাদিক। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পর জাহিদ ফারুক চেম্বার আদালতে আবেদন করলে ফের প্রার্থিতা আটকে যায় সাদিক আব্দুল্লাহর। তবে ভোটে ফিরতে সাদিকও চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। যেটি শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রায় দেবেন আদালত।

শাম্মী আহমেদ :
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন প্রথমে বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশন ও হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেও লাভ হয়নি তার। এরপর চেম্বার আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পাননি তিনি। ভোটের মাঠে থাকতে সবশেষ লিভ টু আপিল করেছেন শাম্মী। যেটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।

শামীম হক :
শামীম হকের বিরুদ্ধেও রয়েছে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ। ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল ইসি। এর জেরে রিট করেন শামীম। যদিও সেটি খারিজ করে দেন আদালত। এরপর চেম্বার আদালতের নির্দেশে আবার ভোটের মাঠে ফেরেন আওয়ামী লীগের এই শামীম। পরবর্তীতে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন এ কে আজাদ।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply