কেবল রাজনীতির পিচে নয়, ক্রিকেটেও সাকিবের প্রেরণা শেখ হাসিনা

|

ফাইল ছবি।

ফয়সাল মাহমুদ, মাগুরা থেকে:

শেখ হাসিনা, সাকিব আল হাসানের কাছে প্রেরণার নাম। তা কেবল রাজনীতির মাঠে নয়, ক্রিকেটের পিচেও। শেখ হাসিনা না থাকলে এতদূর আসা সম্ভব হতো না বলে মনে করেন এই ক্রিকেটার।

ভোটের আগে রাজনীতি ও ক্রিকেট নিয়ে যমুনা নিউজের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন সাকিব। জানালেন, শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় এগিয়ে নিয়ে যেতে চান মাগুরাকে।

ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে এসেছেন, কেমন লাগছে? প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, রাজনীতি বলতে ১৫-২০ দিন হলো। প্রচারণা শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত উপভোগ করছি। নতুন যেহেতু, তাই উত্তেজনা আছে, শিখছি প্রতিনিয়ত।

শেখ হাসিনাকে অনুপ্রেরণা মনে করার কারণ হিসেবে এই অলরাউন্ডার বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে সবসময় উৎসাহ দেন। আজকে বাংলাদেশের ক্রিকেট যে জায়গায় এসেছে, এই উন্নতি তো গত ১০-১৫ বছরে আমরা দেখতে পাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবে উনাকে কৃতিত্ব দিতে হয়। উনার উৎসাহ ও সমর্থন ছাড়া তা সম্ভব ছিল না।

গত মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই জনসভায় যোগ দিতে মাগুরা থেকে ফরিদপুরে ছুটে যান সাকিব আল হাসান। সেখানে গিয়ে একই মঞ্চে বক্তৃতা করেন তিনিও।

সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়, শেখ হাসিনার জনসভায় বক্তব্য দেয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? জানালেন, বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি কখনোই পারদর্শী ছিলেন না। তাই খুব নার্ভাস ছিলেন। তবে, এই বক্তব্যের পর নার্ভাসনেস অনেকটা কেটে গেছে।

সাকিবের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সামনে বক্তব্য দেয়া গেলে অন্যদের সামনে বক্তৃতা করা তো কিছুই না।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট কেটে মাগুরা-১ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই অলরাউন্ডার। ভোটের মাঠে নেমে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যাচ্ছেন প্রতিদিনই। ভোট শেষেও কী তা থাকবে?

আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী বলেন, ক্রিকেট মাঠে যখন ছিলাম, তখন তো আমার এটার দরকার ছিল না। এখানে আমার দরকার সাধরণ মানুষের সাথে মেশার, তাদের সাথে কথা বলার এবং কী চায় তা জানা। তাদের সঙ্গে আলাপ করেই মাগুরাসহ দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব।

উল্লেখ্য, সাকিবের সব ইস্যুতেই সরব দেখা যায় তার সহধর্মিনী উম্মে আহমেদ শিশিরকে। তবে পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় এখনও দেখা যায়নি তাকে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply