নেই হাহাকার কিংবা আহাজারি। সন্তান হারিয়েছেন, কিন্তু হারাননি এতোটুকু ধৈর্য্য। ইসরায়েলের হামলায় নিহত হামাস নেতা সালেহ আল-আরৌরির মা আয়েশা আরৌরি যেন ফিলিস্তিনের সন্তানহারা সব মায়েদের প্রতিচ্ছবি। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে সন্তানের মৃত্যু হওয়ায় জানালেন নিজের গর্বের কথা। খবর আল জাজিরার।
আয়েশা আরৌরি বলেন, আমার সন্তানের ইচ্ছা ছিলো, সে শহীদ হবে। সে আমাকে সব সময় বলতো, তার অন্য বন্ধুরা শহীদ হয়েছে কিন্তু সে বেঁচে আছে। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তার ইচ্ছা পুরণ করেছে।
৫৭ বছর বয়সী আরৌরি ১৫ বছর কারাবন্দী থাকার পর লেবাননে নির্বাসিত হন। ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপ-প্রধান। সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন তিনি। তাই দীর্ঘ সময় সন্তানকে কাছে না পাওয়ার আকুতিও ছিলো তার মায়ের কণ্ঠে।
সালেহ আরৌরির মা বলেন, আমি ২০ বছর আমার সন্তানকে দেখি না। তাকে আমি টিভিতে দেখতাম। ১৫ বছর ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ছিলো। মুক্তির পর সে আবারও স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করে। একারণেই সে অন্য দেশে বসবাস করছিলো। বিদেশে যাওয়ার আগে সে একবার এসেছিলো আমার সাথে দেখা করতে। আমাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু আমি যাইনি।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবরের হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড মনে করা হয় সালেহ আল-আরৌরিকে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন হামাসের এই দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা।
/এএম
Leave a reply