‘সেনা’ (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড) দেশগুলোর বিপক্ষে খেলার সময় দেশের মাটিতে সাধারণত স্পিন নির্ভর উইকেট বানায় ভারত। রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের পছন্দসই উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে দু-তিনদিনের মাঝে হারিয়ে দেয় তারা। যে কারণে ভারতে খেলা হলেই উইকেট নিয়ে ব্যাপকহারে সমালোচনা হয়। কেপটাউনের অসম বাউন্স এবং অতি সিম মুভমেন্টের উইকেটে খেলার পর ভারতের উইকেট নিয়ে মুখ বন্ধ করতে বলছেন রোহিত শর্মা। সেই সঙ্গে পিচ রেটিংয়ে আইসিসির নিরপেক্ষতা চান ভারতের অধিনায়ক।
কেপ টাউনে প্রথম দিনই ২৩ উইকেট, সব মিলে ৩৩! মাত্র দেড় দিনে ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম এই টেস্টে খেলাই হয়েছে মোটে ৬৪২ বল। ৭ উইকেটে জিতে সিরিজ ড্র করলেও কেপ টাউনের এমন অসম বাউন্স আর ব্যাটারদের নাভিঃশ্বাস উইকেটে খেলতে যদিও আপত্তি নেই রোহিতের। তবে সেটির জন্য ভারতের উইকেট নিয়ে মুখ বন্ধ করতে বলেছেন তিনি।
রোহিত বলেন, আমরা দেখেছি এই ম্যাচে কী ঘটেছে। পিচ কেমন আচরণ করেছে। সত্যি বলতে কি, যতক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভারত নিয়ে মুখ বন্ধ রাখছে, ভারতের পিচ নিয়ে বেশি কথা বলা বন্ধ রাখছে, এ ধরনের উইকেটে (নিউল্যান্ডসের মতো) খেলতে আমার আপত্তি নেই। এখানে আমরা নিজেদেরই চ্যালেঞ্জ জানাতে এসেছি। হ্যাঁ, এটা বিপজ্জনক, এটা চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু অন্যরা যখন ভারতে যায়, তারাও চ্যালেঞ্জ সঙ্গে করেই যায়।
কেপটাউন পিচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের পিচ নিয়েও কথা বলেন রোহিত। তার মতে, ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরিতে সেই ফাইনালে ৭ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া জিতে চ্যাম্পিয়ন হলেও সেই ফাইনালের পিচকে দেয়া হয়েছিল ‘গড়পড়তা’ রেটিং। কিন্তু কেনো? খারাপ উইকেটে কেউ কীভাবে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতাতে পারে?
এই প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, পিচের রেটিং দেয়ার ব্যাপারে কয়েকজন ম্যাচ রেফারির আরও সতর্ক হওয়া উচিত। আমি এখনও অবাক যে বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচকে ‘গড়পড়তা’ রেটিং দেয়া হয়েছে। এক ব্যাটার সেখানে সেঞ্চুরি করেছে। কীভাবে সেটা বাজে পিচ হয়? যা তারা দেখছেন সেটার ওপর ভিত্তি করে আইসিসি, ম্যাচ রেফারির পিচ রেটিং দিতে হবে, দেশ দেখে নয়। আশা করি, তারা তাদের চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করবেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আন্তরিকভাবেই বলছি, আমি এ ধরনের পিচের পক্ষে। এ ধরনের পিচে খেলে নিজেদের আমরা চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই। তবে সব সময় নিরপেক্ষতা চাই।
/আরআইএম
Leave a reply