আঙ্গুলের চোটের কারণে ভারত বিশ্বকাপের পর সাকিব আল হাসানের এখনও ক্রিকেট মাঠে ফেরা হয়নি। এরইমধ্যে যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে। মাগুরাবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় দাঁড়িয়েছেন জাতীয় নির্বাচনে।
সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নাজমুল হোসেন শান্তকে সাকিবের সহকারী করে পাঠানো হয়েছিল ভারতে। বিশ্বকাপের পর সাকিবের অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম-অ্যাওয়ে দুই সিরিজেই অন্তর্বর্তী অধিনায়কের দায়িত্ব সামলেছেন এ বাঁহাতি ব্যাটার। তাই ভবিষ্যৎ বিবেচনায় শান্তকে নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে চেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে। এ নিয়ে জানতে চাইলে সাকিবের খোলামেলা উত্তর। তিনিও চান, শান্তর কাঁধেই উঠুক অধিনায়কের দায়িত্ব।
সাকিব আল হাসান বলেন, আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক শান্তরই হওয়া উচিত। কিন্তু এসব সময়ের ব্যাপার, যখন খেলায় ফিরব, বিসিবির সাথে কথা হবে, আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব। যে সিদ্ধান্তটি নেয়া হবে, আশা করি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য মঙ্গল হবে।
২২ গজের ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা ১৭ বছরের। এই ক্রিকেটই তাকে দিয়েছে দু’হাত ভরে। ক্যারিয়ারে প্রাপ্তির ঝুড়িতে অসংখ্য অর্জন আছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের। তবুও একটা আক্ষেপ থেকেই যায়, বাংলাদেশের হয়ে এখনো যে জিততে পারেনি বড় কোনো ট্রফি। সেটাও জানালেন অবলীলায়।
সাকিব আল হাসান বলেন, যদি জাতীয় দলের হয়ে আমরা বড় কোনো ট্রফি জিততাম, তাহলে অন্তত আমাদের মনের মধ্যে তৃপ্তি থাকতো। কিন্তু, এমনতো না যে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে, এখনও সম্ভবনা আছে।
ক্রিকেটের এই বরপুত্রের ক্যারিয়ার পড়ন্ত বেলায়। তাই প্রশ্ন ছিল, ক্রিকেটের কোন ফরম্যাটকে আগে বিদায় জানাবেন? জবাবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেন, আসলে ওরকমভাবে চিন্তা করি না। খেলতে থাকি, যখন যেটা মনে হবে ছেড়ে দেব। সবকিছুই বিসিবির সাথে আলোচনা করে হবে। প্ল্যানগুলো আগে থেকেই করে নেব।
ক্রিকেটের মাঠ থেকে রাজনীতির মাঠে পা রাখা সাকিবের কাছে প্রশ্ন ছিল, ক্রিকেট আর রাজনীতি, দুইটার মধ্যে বড় পার্থক্য কোথায়? সাকিব বলেন, আমি খুব বেশি পার্থক্য দেখি না। রাজনীতিতে আমি নির্বাচন করছি একটি দলের হয়ে, আর পুরো দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলি।
/আরআইএম
Leave a reply