‌ভোটে ছাপাখানায় ২৫০ কোটি টাকার ব্যবসা

|

সাইফুল ইসলাম:

মোহাম্মদ সোহেল, মেশিন টেকনিশিয়ান। কাজ করেন রাজধানীর আরামবাগের ছাপাখানায়। দীর্ঘ ৫ বছর পর এসেছে জাতীয় নির্বাচন, আশা ছিল বাড়তি আয়ের। তবে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে জানান।

যমুনা নিউজকে তিনি বলছিলেন, কাজ করেছি কিন্তু কম। এখন একদলের পোস্টার ছাপিয়েছি। সব দল যদি অংশগ্রহণ করতো, তাহলে বেশি কাজ করতে পারতাম।

মুদ্রণ শিল্প মালিকরা বলছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে আড়াইশ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে ছাপাখানার ব্যবসা। তবে, তা আশানুরুপ নয়। মোহাম্মদ সোহেলের মতো তারা এর কারণ হিসেবে ভোটে সব দল অংশ না নেয়াকে দায়ী করেন। এছাড়া, কাগজ-কালির দাম বেড়ে যাওয়া এবং কর্মচারীর মজুরির কারণে অতীতের তুলনায় মুনাফা কমার দাবিও তাদের।

নির্বাচনী পোস্টারের সর্বোচ্চ আকার ১৮ ইঞ্চি থেকে ২৩ ইঞ্চি। মানভেদে লেমিনেটিং করা একটি পোস্টার তৈরির খরচ ৮ থেকে ১০ টাকা। মুদ্রণ শিল্পের মালিকরা বলছেন, পাইকারিতে মানভেদে কাগজের টনপ্রতি দাম ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় উঠেছে। অথচ এক বছর আগেও দাম ছিল অর্ধেক। এর সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে কালিসহ শ্রমিকের মজুরি।

রাজধানীর আরএ প্রিন্টিং প্রেসের মালিক শেখ আলমগীর হোসেন বলেন, সারাদেশে ২৫০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। তা তো অনেকে মিলে করেছে। যে হিসেবে কাজ হওয়ার কথা, বিশেষ করে পোস্টার, লিফলেট, ক্যালেণ্ডার, ডায়েরি এগুলোর কাজ তো তত ছিল না।

ইউআর প্রিন্টার্সের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, কর্মচারী-কালি-কাগজের দাম বৃদ্ধির কথা। কিন্তু বিপরীতে প্রিন্টিংয়ের দাম বাড়েনি। আরও কমেছে।

বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে আসনে শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে, সেখানে মুদ্রণ সামগ্রী বাবদ সব প্রার্থীর খরচ ৮০ লাখ টাকায় পৌঁছে যাবে। বিএনপি ভোটে না আসায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা দুর্বল হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে মুদ্রণ সামগ্রী সরবারহের পরিমাণ কমে গেছে। ব্যবসাও কমে গেছে।

ফেব্রুয়ারির বই মেলা ঘিরে ছাপাখানার ব্যবসা আবারও চাঙ্গা হবে বলে আশা করছেন মুদ্রণ শিল্প সমিতি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply