চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে শুরু থেকেই বেকায়দায় রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যাপিটল হিলে হামলা ইস্যুকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি হয়েছেন একের পর এক মামলার। এরইমধ্যে মূল এবং কলোরাডো রাজ্যের প্রাইমারি নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে।
রাজ্য আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন ট্রাম্প। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) তার এই আপিল গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত। ফলে প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প আসলেই লড়তে পারবেন কি না, তা নির্ধারণ করবেন মার্কিন সর্বোচ্চ আদালত। ফেব্রুয়ারিতেই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়। দেশব্যাপী এই রায় প্রযোজ্য হবে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
তবে বরাবরের মতোই তার নামে উঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার নামে যত অভিযোগ আছে, প্রয়াত মাফিয়া গডফাদার আল কাপোনের নামেও অতগুলো অভিযোগ নেই। আমরা এমন এক প্রেসিডেন্ট পেয়েছি যিনি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। মার্কিন গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে আপনারা আমাকে সমর্থন দিন।
এদিকে, রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের তিনজন বিচারপতি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে নিয়োগ পাওয়া। ফলে আপিলের রায় নিয়ে সংশয় জানিয়েছেন অনেকেই।
বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প অতীতের প্রতিশোধ নিতে নির্বাচন করতে চায়। তার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। দেশের গণতন্ত্রকে জলাঞ্জলি দিয়ে তিনি ক্ষমতায় আসতে চান। আমাদের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র এবং এর নাগরিকদের উন্নয়ন। তাই তারা আমাদেরকেই বেছে নেবেন।
রাজ্য কর্তৃপক্ষগুলোর অভিযোগ, তিন বছর আগে সংগঠিত হওয়া ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িত ছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী বিদ্রোহে জড়িত কোনো ব্যক্তি ফেডারেল পদে লড়তে পারবেন না। তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলছেন, এই আইন প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
/এনকে
Leave a reply