চন্দ্রবিজয়ের পর আবারও বড়সড় সাফল্যের দোরগোড়ায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। নাসা আর ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও জাপানের পর ভারত পাড়ি জমাতে যাচ্ছে সৌর মুলুকে। সূর্যের নামের সাথে মিল রেখে যে অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘আদিত্য-এল ওয়ান’।
মূলত সূর্য সম্পর্কে আরও বিস্তর গবেষণায় সাহায্য করবে এই মিশন। অরবিটে থাকা সাতটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র গবেষণা করবে সূর্যের বর্হিভাগের তিনটি স্তরকে। দেবে আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য, কীটপতঙ্গের উপদ্রব, খরা ও আসন্ন দুর্যোগের পূর্বাভাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা। এমনকি এর পাঠানো সৌর অগ্নুৎপাতের পূর্বাভাসের মাধ্যমে রক্ষা পাবে কৃত্রিম উপগ্রহগুলোও।
গত বছর ২ সেপ্টেম্বর ভারতের শ্রীহরীকোট সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পি-এস-এল-ভি-ফিফটি সেভেনে চেপে যাত্রা করে ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য-এল ওয়ান। ১২৭ দিন যাত্রার পর এর গন্তব্য পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ওয়ানে। যেখান থেকে সূর্যের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করবে ১৫০০ কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইটটি। এই স্থানকে সূর্যের পথে পার্কিং লট বলেও ঘোষণা করা হয়। যদিও এই পথ পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের ১৫.১ কোটি কিলোমিটারের মাত্র এক শতাংশ।
সূর্যাভিযানের এই মিশনের জন্য চারশো কোটি রুপি খরচ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
/এএম
Leave a reply