ভোটের লড়াইয়ে শুন্য পেলো যেসব দল

|

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল ২৮টি রাজনৈতিক দল। তার মধ্যে ২৩টি দল কোনো আসনে জয় পায়নি। বাকি পাঁচ দলের মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি মাত্র একটি করে আসনে পাশ করেছে। তবে, ভোটের বৈতরণী পার হতে জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টির দুই বিজয়ী প্রার্থীই নৌকায় ছড়েছেন।

বেসরকারি ফল অনুযায়ী, নিরঙ্কুশ জয়ে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৪টি আসন। আর জাতীয় পার্টির ভাগ্যে জুটেছে ১১টি আসন। যদিও জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতাসীন দল ২৬টি আসনে ছাড় দিয়েছিল। সেসব আসনের অর্ধেকেও জিততে পারেনি দলটি। এছাড়া বাকি আসনগুলোতে লাঙ্গলের প্রার্থীরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।

নির্বাচন কমিশনের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া ২৮টি দলের মধ্যে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি আসনে, ইসলামী ঐক্যজোট ৪২টি আসনে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩০টি আসনে, গণফোরাম ৯টি আসনে, গণফ্রন্ট ২১টি আসনে, জাকের পার্টি ২১টি আসনে, জাতীয় পার্টি ২৬৫টি আসনে, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১৩টি আসনে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৬৬টি আসনে, তৃণমূল বিএনপি ১৩৫টি আসনে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ১২২টি আসনে, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১০টি আসনে, আওয়ামী লীগ ২৬৬টি আসনে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি আসনে, বাংলাদেশ কংগ্রেস ৯৬টি আসনে, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৬টি আসনে, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১১টি আসনে, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ৫টি আসনে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ৫৬টি আসনে, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৩৮টি আসনে, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ৫টি আসনে, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট ৪৫টি আসনে, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ৪টি আসনে, সুপ্রিম পার্টি ৭৯টি আসনে, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৬৩টি আসনে, ওয়ার্কার্স পার্টি ২৬টি আসনে, সাম্যবাদী দল ৪টি আসনে ও গণতন্ত্রী পার্টি ১০টি আসনে প্রার্থী দেয়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৯৭১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার মধ্যে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে অনেকেই ভোটের আগে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। কেউ কেউ ভোটের দিনে বর্জনের ঘোষণা দেন। শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে এ ভোটগ্রহণ।

৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। নওগাঁ-২ আসনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট হয়নি। পুনরায় সেখানে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তখন আরও প্রার্থী যুক্ত হতে পারে।

এদিকে, এক কেন্দ্রের অনিয়মে আটকে গেছে ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফল। ওই কেন্দ্র ছাড়া, এই আসনের ঘোষিত ফল অনুযায়ী নিলুফার আনজুম পপি (নৌকা) ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোমনাথ সাহা ট্রাক প্রতীকে ৫২ হাজার ২১১ ভোট পেয়েছেন। দুইজনের মধ্যে ব্যবধান হাজারের কম হওয়ায় ফল আটকে গেছে।

এবারের ভোটে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। আর নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২। ৮৫২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চব্বিশের ভোটে ৪০ শতাংশ মতো ভোট পড়েছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply