মানবিক সহায়তার অভাবে বিপন্ন গাজাবাসী

|

মানুষ অনাহারে থাকলেও পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌছাচ্ছে না গাজায়। মৃত্যু আর হতাশার জনপদে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে চিকিৎসাসামগ্রী ও আশ্রয়শিবির তৈরির সরঞ্জাম প্রবেশে বাধা দেয়ার। ফলে অস্থায়ী তাঁবু স্থাপনের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও, বরাবরের মতোই, ত্রাণে বাধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করছে ইসরায়েল।

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজায় কান পাতলেই শোনা যায় আহাজারি আর কান্নার শব্দ। লাশের গন্ধে ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস। যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের বেশিরভাগেরই নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। প্রচণ্ড ক্ষুধা আর তৃষ্ণায় কাটছে অসহায় মানুষগুলোর প্রতিটি দিন।

হাজারো ফিলিস্তিনি অনাহারে থাকলেও গাজায় ত্রাণ প্রবেশে কমছে না জটিলতা। শুরু থেকেই ত্রাণ নিয়ে নানা টালবাহানা করা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এবার মেডিকেল সহায়তা ও শেল্টার সাপ্লাই আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। খবর আল জাজিরার।

কুয়েত হাসপাতালের চিকিৎসক শুহাইব আল হামস বলেন, ৩০টি ট্রাকে প্রায় দু’শ’ তাবু এসেছে। কিন্তু তাবু টাঙানোর খুঁটি খুলে রেখে দিয়েছে ওরা। এমনকি বৃষ্টি থেকে বাঁচতে যে নাইলনের কাপড় থাকার কথা, সেটিও নেই। এক বাস্তুহারা ফিলিস্তিনি বলেন, বাড়ি-ঘর হারিয়ে এখানে এসেছি। সামান্য একটি তাবুও পাইনি। যে তাবু দিয়েছিলো, তাতে টাঙানোর খুঁটি ছিলো না। তাই সেটা নিইনি।

যদিও ইসরায়েলের দাবি, যেসব জিনিস অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হতে পারে, কেবল সেগুলোকেই ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না গাজায়। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কোল ইলাড গোরেন বলেন, খাবার-পানি কিংবা মেডিক্যাল ও শেলটার সাপ্লাই প্রবেশে কোনো বাধা দিচ্ছি না আমরা। প্রতিদিন গাজায় ত্রাণ ঢুকছে। শুধুমাত্র অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে, এমন জিনিসই ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেয়ার ঘটনায় আবারও উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির কর্মকর্তা স্টেফানি টিমবার্লি বলেন, ২০ লাখের বেশি মানুষকে সহায়তা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সেখানকার সেচ্ছাসেবকদের। যোগাযোগ ব্ল্যাকআউটসহ নানা কারণে সেখানে কাজ করা দিনকে দিন অসম্ভব হয়ে উঠছে।

আন্তজার্তিক সংস্থা রেডক্রসের তথ্য অনুযায়ী, ১২শ’ পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র, শ’খানেক অক্সিজেন সিলিন্ডার, এক হাজার সৌরচালিত যন্ত্র, ২৫টি জেনারেটর ও ৪১৮ ধরনের মেডিকেল সাপ্লাই আটকে রেখেছে ইসরায়েল।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply