স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ঢাকা-১ আসনে রাত থেকেই দখল করে সরকারের পাতানো ছকে নির্বাচন করে জিতেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। অথচ সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিলো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের পল্লী নিবাসের লিচুতলায় জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে একথা বলেন তিনি।
এর আগে, পৈত্রিক নিবাস সেনপাড়ার স্কাইভিউ থেকে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এরশাদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন জিএম কাদের। এ সময় জাপার কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, হাসানু্জ্জামান নাজিম উপস্থিত ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের পাতানো ছকে ভোট হয়েছে উল্লেখ করে কাদের আরও বলেন, সরকারের নিরপেক্ষ প্রশাসন, পেশিশক্তি ও অর্থের প্রভাবমুক্ত থাকার যে ওয়াদায় আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম, সে ওয়াদা রক্ষা করেনি তারা। তাদের ওয়াদার কারণেই সরাসরি প্রার্থী দিয়েছিলাম আওয়ামী লীগের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য। সরকার কথা দিয়েছিল অনিময় হবে না, কিন্তু তারা পাতানো ছকেই নির্বাচন করলো। তার মধ্যে ঢাকা-১ অন্যতম। সেখানে আমাদের শক্তিশালী প্রার্থী ছিল। অ্যাডভোটেক সালমা ইসলাম ওই আসনে যথেষ্ট জনপ্রিয়। তার অনেক ভোটার সেখানে। আমি নিজেই ওই আসনে গিয়েছিলাম।
জিএম কাদের বলেন, উনি (সালমা ইসলাম) খুব আশাবাদী ছিলেন, স্বাভাবিক ভোট হলে উনি জিতবেনই। সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল ওখানে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনোরকম হস্তক্ষেপ করা হবে না। কিন্তু আমরা দেখলাম আগের রাত থেকে সেখানে বিভিন্নভাবে লাঙ্গলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, এজেন্টদের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়াসহ তাণ্ডব চালিয়ে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হল; যাতে মানুষ ভোট দিতে না আসে। শেষ পর্যন্ত সেখানকার প্রত্যেকটি কেন্দ্র দখল করে সিল মেরে জোর করে ভোট করিয়ে নেয়া হয়েছে। অনিয়ম করে এবং জোর করে সামলা ইসলামকে হারানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার কথা রাখেনি। ২০ থেকে ২২ টি আসনে এ ধরনের (ঢাকা-১ আসনের মতো) ঘটনা ঘটেছে। এসব আসনে আমাদের লোকজনকে বের করে দেয়া হয়েছে, মেরেছে। প্রার্থীকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে। বারবার বলার পরও পুলিশ আসেনি। যাদের প্রটেকশন দেয়ার দায়িত্ব ছিল সেটাও তারা করেনি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনে ও পুলিশের সামনে বসে সবাই নৌকায় সিল মেরেছে।
/এনকে
Leave a reply