ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সাথে উত্তেজনার মাঝেই আবারও তুঙ্গে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাত। লেবানন ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামাস নেতাকে হত্যার জবাবে ইহুদি ভূখণ্ডে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। রোববার (৭ জানুয়ারি) ইসরায়েলি ভূখণ্ডের আট কিলোমিটার ভেতরের উত্তরাঞ্চলীয় সেনাঘাঁটিতে ৬২টি রকেট ও মিসাইল হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংসের দাবিও তাদের। খবর এপির।
ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে আইডিএফও। তাদের দাবি, পাল্টা হামলায় ধ্বংস করেছে হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনা। হত্যা করেছে সাত যোদ্ধা। সীমান্ত এলাকায় আরও জোরদার করেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, হিজবুল্লাহ গতকাল নিরাপত্তা বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় এয়ার কন্ট্রোল ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দ্রুতই কাটিয়ে ওঠা হবে ক্ষয়ক্ষতিও। এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এর জবাবে, হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনায় মিসাইল হামলা চালায় সেনারা। এতে সাত সন্ত্রাসী হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন এই হামলার সাথেও জড়িত ছিলেন।
এদিকে, ভূখণ্ডে একের পর এক হামলার জেরে হিজবুল্লাহকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার স্পষ্ট বার্তা, আগ্রাসন চলমান থাকলে ‘আরেকটি যুদ্ধ’ হবে। তাদের পরিণতিও হবে হামাসের মতোই। বলেন, বিগত কয়েকমাসে হামাসের অবস্থা দেখে শিক্ষা নিন। কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় দেয়া হবে না। বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা বদ্ধপরিকর। উত্তরাঞ্চল থেকে যাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে, তাদেরকে আবার নিরাপদে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর থেকেই স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির সমর্থনে বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। তবে সম্প্রতি হামাস নেতাকে হত্যার জেরে এই সহিংসতা পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণ করছে বলে আশংকা অনেকের।
/এএম
Leave a reply