ঘন কুয়াশা ও শীতে জনজীবন ব্যাহত, বাড়ছে শীতবাহিত রোগ

|

বছরের শুরুতেই জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। কনকনে ঠাণ্ডা, ঘন কুয়াশা এবং সূর্যের লুকোচুরিতে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। শীতবস্ত্রের অভাবে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের।

জেলাটিতে প্রকট হয়ে উঠছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রার পারদ যতই নামছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু এবং বয়স্করা। চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, শীতের কারণে কাজ করতে পারছি না। কিন্তু কাজ না করলে তো পেটে ভাত জুটবে না। আমরা অনেক কষ্টে আছি।

আরেকজন বলেন, কয়েকদিন থেকেই প্রচণ্ড শীত পড়তে শুরু করেছে। কুয়াশা ও শীতে বের হওয়া যায় না। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে অনেকে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: সাজ্জাদ হায়দার শাহীন বলেন, এখানে সব ঋতুতেই রোগীর চাপ বেশি থাকে। তবে শীতে শিশু রোগী একটু বেশি থাকে। ১৭০ থেকে ১৮০ রোগী ভর্তি থাকে এই হাসপাতালে। মাঝে মাঝে সেটি ২০০ জন পর্যন্ত হয়ে যায়।

শীত মোকাবেলায় ৫ উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পাওয়া কম্বল। সংশ্লিষ্ট দফতরে আরও কম্বলের জন্য চাহিদা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অরুনাংশু দত্ত টিটো।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপে আমরা সাত হাজার সম্বল বিতরণ করেছি। আরও দুইধাপে কম্বল পাবো। পাশাপাশি আমরাও স্থানীয়ভাবে শীতার্থদের জন্য শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করছি।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply