প্রথমে ছোঁড়া হয় গুলি, মৃত্যু নিশ্চিতে চালিয়ে দেয়া হয় ট্যাংকারও। পশ্চিম তীরের তুলকারেমে এভাবেই ৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। হামলা অব্যাহত গাজার শরণার্থী শিবিরের হাসপাতালগুলোয়। জটিলতা কমেনি আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রবেশেও। ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না বাসস্থান তৈরির মৌলিক উপকরণ। মানবেতর জীবন কাটছে গাজাবাসীর।
এই সংঘাত পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে, শঙ্কা জাতিসংঘের। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ থামাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো বলেন, প্রতিদিনই বাড়ছে আগ্রাসন। আশঙ্কা, পুরো অঞ্চলে ছড়াবে যুদ্ধ। সংশ্লিষ্ট নেতাদের প্রতি অনুরোধ, যুদ্ধ বন্ধে আপনারা সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করুন। ইসরায়েল-হামাস উভয়পক্ষকে চাপ দিন।
গোলমেলে পরিস্থিতিতে ফের মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবের নেতাদের সাথে। অবশ্য তার কণ্ঠে ছিলো ইসরায়েলপন্থী সুর। তিনি বলেন, সবাই চায় যুদ্ধ থামুক। তবে সর্বাগ্রে নিশ্চিত করতে হবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা। পাশাপাশি নিরপরাধ গাজাবাসীর ওপরও হামলা বন্ধ করতে হবে। গাজা ও পশ্চীম তীরে একক সরকার ব্যবস্থা দরকার। তাহলেই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিন গঠন করা সম্ভব। এগুলো বাস্তবায়ন এতোটা সহজ নয় তবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ঐক্যের প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
ব্লিনকেনের সাথে সাক্ষাতে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছে আরব রাষ্ট্রগুলো। শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, সংঘাত শেষে গাজার পুনর্গঠনও উঠে আসে কথোপকথনে।
/এএম
Leave a reply