ভারতের সাথে কূটনৈতিক উত্তেজনা যখন চরমে, তখন চীন সফরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। দুদিন পূর্বে বেইজিং পৌঁছালেও বুধবার (১০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি। ঐতিহাসিক গ্রেট হলে পৌঁছানোর পর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানো হয় তোপধ্বনির মাধ্যমে। দেয়া হয় গার্ড অব অনার। এসময় সাথে ছিলেন দেশটির ফার্স্ট লেডি। খবর রয়টার্সের।
এরপরই তাদের তাদের স্বাগত জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এরপরই বৈঠকে বসেন দুই প্রেসিডেন্ট। সাথে ছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে বেইজিং এবং মালের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক আখ্যা দেন জিনপিং।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন ও মালদ্বীপ একে অপরের বন্ধু ও সুপ্রতিবেশী। গত ৫ দশক ধরে দু’দেশ সবসময় একে অপরকে সম্মান ও সমর্থন করে আসছে। এর পাশাপাশি গেল ১০ বছরে দুদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। ‘বেল্ট আ্যন্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় চীন ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা থেকে অনেক সুফলও অর্জিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় মালদ্বীপে বিনিয়োগের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ মুইজ্জু। সবচেয়ে বেশি জোর দেন মালদ্বীপের পর্যটন খাতে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, বেইজিংয়ের সাথে মালের যে দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে, তার মর্যাদা রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের যতগুলো প্রতিবেশী রয়েছে, তাদের মধ্যে চীন সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ। দুদেশের স্বার্থে এই সম্পর্ক আরও জোরদারের চেষ্টা করাহ অবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে ভারত-মালদ্বীপের মধ্যে হঠাৎ যে তিক্ততার সুর বেজে উঠেছে, তা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজছে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্র। সেকারণেই মোহাম্মদ মুইজ্জুর চীন সফর। চারদিনের এই সফরে এরইমধ্যে দেশটির বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও গুরুত্বপূর্ণ দফতর সফর করেছেন। আরও বেশি পর্যটক পাঠাতে চীনকে অনুরোধও করেছে মালদ্বীপ।
সমুদ্রসম্পদ ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প থাকা সত্ত্বেও মালদ্বীপের অর্থনীতি প্রধানত পর্যটননির্ভর। দেশের মোট প্রবৃদ্ধির ২৮ শতাংশ পর্যটনের অবদান। দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৬০ শতাংশও আসে পর্যটনের দৌলতে।
/এএম
Leave a reply