হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা মার্কিন যুদ্ধ জাহাজের। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতের অভিযানে অংশ নেয় চারটি যুদ্ধজাহাজ। যার মধ্যে তিনটি যুক্তরাষ্ট্রের আর একটি ব্রিটেনের। খবর আল জাজিরার।
এর আগে, ইন্টারন্যাশনাল শিপিং লেনে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যবাহী জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালায় হুতিরা। ব্যালিস্টিক, ক্রুজ ও জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল ছোড়া হয় এসব জাহাজ লক্ষ্য করে। এখন পর্যন্ত ইয়েমেনি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।
হুতি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, আমাদের নৌবাহিনী ও মিসাইল ইউনিট যৌথভাবে এই অভিযান চালিয়েছে। মার্কিন জাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়া হয়। কারণ, এসব মার্কিন জাহাজ ইসরায়েলের সহায়তা করে আসছে। এরপরই আমাদের বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায় মার্কিন শত্রুরা।
দুই পক্ষে হামলা-পাল্টা হামলার পরপরই মার্কিন নিরাপত্তা বিভাগকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এ ধরনের হামলাকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আঘাত বলে আখ্যা দেয়া হয়। মার্কিন নিরাপত্তার স্বার্থে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা ওয়াশিংটনের। একই হুঁশিয়ারি লন্ডনেরও।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এ ধরনের হামলা সরাসরি মার্কিন অস্তিত্বের ওপর আঘাত। তাই আমাদের নৌবাহিনীও যথোপযুক্ত জবাব দিয়েছে বিদ্রোহীদের। লোহিত সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরইমধ্যে ২০টি দেশ এই অভিযানে যোগ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী জাহাজে কয়েক মাস ধরেই হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সবশেষ হামলাটি সম্প্রতি চালানো হুতিদের সবচেয়ে বড় হামলা।
/এএম
Leave a reply