সারাদেশ ডেস্ক:
শীতের দাপটে কাহিল জনজীবন। ঘর থেকে বের হওয়াই কঠিন। কষ্ট বাড়ছে খেটে খাওয়া মানুষের। বেশি বিপাকে খেটে খাওয়া আর ছিন্নমূল মানুষ। কমে গেছে আয়-রোজগারও।
পাশাপাশি ঘনকুয়াশা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে কৃষিতে। নষ্ট হচ্ছে ফসল-বীজতলা। ক্ষতির মুখে আলু চাষিরা। বোরো বীজতলাও বিবর্ণ রূপ নিয়েছে। চাষিদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
উত্তরের জেলা নওগাঁর কয়েকজন চাষি জানান, রাতে শিশির পড়া এবং দিনে কুয়াশার কারণে চাষে তাদের সমস্যা হচ্ছে। ফলন বৃদ্ধি হচ্ছে না। পাতা মরে যাচ্ছে, পচন ধরছে। কিটনাশক বেশি ব্যবহার করেও কাজ হচ্ছে না।
এদিকে, বীজতলা বাঁচাতে অনেকে পলিথিন ও খড় দিয়ে ঢেকে রাখছেন। কেউ কেউ ব্যবহার করছেন ছত্রাকনাশক। তবুও প্রতিকার হচ্ছে না। এ অবস্থায় মাঠপর্যায়ে গিয়ে নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে দাবি কৃষি বিভাগের।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, চারার বয়স যদি ৪০-৪৫ দিন হয়ে থাকে, তাহলে আমরা গছিতে ৩টি চারা দিয়ে রোপনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। শৈত্যপ্রবাহ চলমান থাকলে চারা রোপনে আমরা নিষেধ করি।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। যা কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দেশে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গাতে, যা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
/এমএন
Leave a reply