পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় পাকিস্তানকে ৪৬ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে ফিন অ্যালেন, ড্যারেল মিচেল, উইলিয়ামসনদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রানের পাহাড় গড়ে স্বাগতিকরা। বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও, শেষটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। বাবর আজম ফিফটি তুলে নিলেও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে উইলিয়ামসনের দল।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্ক স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি। ইনিংসের প্রথম ওভারে ডেভন কনওয়েকে ফিরিয়ে শুভসূচনা করেন শাহীন। এ যেন শাহীনের সেই রূপ, যা খুঁজে ফেরে পাকিস্তানি সমর্থকেরা। আরেক ওপেনার ফিল অ্যালেনের ব্যাট অবশ্য চলতে থাকে ভালোই। দলীয় ৫০ রানের মাথায় যখন ফিরলেন এই ব্যাটার, ব্যক্তিগত খাতায় তখন ১৫ বলে ৩৪ রানের এক টর্নোডো ইনিংস।
দীর্ঘদিন পর টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটেও রান এসেছে। দলীয় শতকটা পূরণ হয়েছে উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের হাত ধরে। অভিষিক্ত আব্বাস আফ্রিদির শিকার হয়ে ফিফটি করে বিদায় নেন উইলিয়ামসন। ৯ বাউন্ডারিতে ৪২ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন কিউই অধিনায়ক। এদিকে একপাশ সামলে মিচেলের ব্যাট হাসছিল কাউকে পরোয়া না করে। ২৭ বলে ৬১ রানের ইনিংসে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
শেষপর্যন্ত মার্ক চ্যাপম্যানের ১১ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস দলের রানকে ২০০ পেরিয়ে নিতে ভূমিকা রাখে। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থামে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রানে। পাকিস্তানের পক্ষে শাহীন আফ্রিদি ও আব্বাস আফ্রিদি ৩ টি করে উইকেট নেন।
বড় লক্ষ্যমাত্রা মাথায় নিয়ে শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল পাকিস্তানের। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে তরুণ ওপেনার সাইম আইয়ুব যখন দারুণ খেলছেন, সেই মুহূর্তে রানআউট হয়ে ফেরাটা বেশ ধাক্কা দেয় পাকিস্তানকে। ২ চার ও ৩ ছক্কার সহায়তায় ৮ বলে ২৭ রান করে ফেরেন আইয়ুব। বাবর আজম ও রিজওয়ান মিলে ধাক্কা কাটিয়ে যখন দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, সেই মুহূর্তে টিম সাউদির ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হয়ে রিজওয়ান সাজঘরে ফেরেন। আউত হওয়ার আগে রিজওয়ান করেন ২৫ রান।
ক্রিজে এসে বাবরকে সঙ্গ দিতে পারেননি ফখর জামান। তবে চেষ্টা চালিয়ে যান ইফতিখার আহমেদ। ইফতিখারকে সাথে নিয়ে ৯ ওভারে দলীয় ১০০ রান পেরিয়ে লড়াই চালিয়ে যান বাবর। তবে সাউদির ডেলিভারিতে ইফতিখারের ২৭ রানের ইনিংস শেষ হয়, দলের রান তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩০।
একা হাতে বাবর একপাশ দেখেশুনে রাখছেন তখনো। ক্রমেই বলের সাথে রানের ব্যবধান বাড়ছিল। তবে আজম খান ও শাহীন আফ্রিদিকে নিজের ওভারের এক বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরান অ্যাডাম মিলনে। পরের গল্পটা একেবারেই সংক্ষিপ্ত। বেন সিয়ার্স এসে তুলে নেন বাবর ও উসামা মীরের উইকেট। বাবরের ফেরা ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। তার ঠিক পরের ওভার করতে এসে সাউদি তুলে নিলেন আব্বাস আফ্রিদি ও হারিস রউফকে। ফলে ১৮ ওভারে ১৮০ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৫ রান খরচায় চার উইকেট নেন সাউদি। দুটি করে উইকেট নেন অ্যাডাম মিলনে এবং বেন সিয়ার্স। এই ম্যাচের মাধ্যমে পাকিস্তানে নেতৃত্বের অভিষেক হয় আফ্রিদির। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই হারতে হলো তাকে।
/আরআইএম
Leave a reply