শীতে জবুথবু দেশ

|

তীব্র শীতে স্থবির জনজীবন। উত্তরের পাশাপাশি দেশের দক্ষিণেও কনকনে ঠান্ডা। শীতের দাপটে কষ্ট বাড়ছে খেটে খাওয়া মানুষের। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে হতদরিদ্র আর ছিন্নমূল মানুষ। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

হিম শীতল বাতাস কাঁপুনি ধরাচ্ছে শরীরে। এতে পথঘাটে মানুষের আনাগোনাও কমেছে। জীবিকার তাগিদে যাদের বের হতেই হয়, শীতের খুব সকালে শুধু তাদেরই দেখা মেলে। কুয়াশার দাপটে সড়ক-মহাসড়কে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে নিলফামারীর একজন বলেন, শীতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। অনেকে বাইরে বের হচ্ছে না। যাদের খুবই জরুরি প্রয়োজন কেবল তারাই বাইরে বের হয়।

আরেকজন বলেন, খেটেখাওয়া মানুষরা বেশি বিপাকে পড়েছেন। ছিন্নমূল মানুষের জন্য সহযোগিতা প্রয়োজন। এমন শীতে তারা খুবই কষ্টে আছে। আমরা সীমিত আয়ের মানুষ। ফুটপাত থেকে অল্প দামে শীতবস্ত্র কিনেছি।

তাপমাত্রার পারদ নামার সাথে সাথে ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানেও ভিড় বাড়ছে। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা অপ্রতুল। শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে হতদরিদ্র মানুষ।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, আমরা ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। আরও ২০ হাজারের চাহিদা পাঠিয়েছি। এগুলো পাওয়ামাত্র বিতরণ করা হবে।

শীতের সাথে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগও। বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা সরকারি হাসপাতালে।

এ বিষয়ে এক নারী বলেন, শীতে বাচ্চার সর্দি লেগেছে। সেজন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে নেবুলাইজার দিতে হচ্ছে।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. এন এম হাদী বলেন, ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত ‍শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি বয়স্কদের মধ্যে অ্যাজমাসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বাড়ছে।

দেশের দক্ষিণেও বেড়েছে শীতের দাপট। বেলা গড়ালেও কোথাও কোথাও দেখা মিলছে না সূর্যের। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বরিশালে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে। এদিকে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভিড়ে জমজমাট বেচকেনা হকার্স মার্কেটে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই বাজারে শীতের পোশাক কেনা যাদের কাছে বিলাসিতা তাদের ভরসা ফুটপাতের দোকান। দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার পারদ ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply