‘কোটা বাতিলের কারণে উদ্ভূত সমস্যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে’

|

আমরা সকল শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করি। তাই ৫ দফার আলোকে কোটা সংস্কার চেয়েছি। কখনোই কোটা বাতিল চাইনি। তাই এ বাতিলের কারণে উদ্ভূত সমস্যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে কোটা বাতিলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুলহক নুর, ফারুক হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংগঠন।

সংবাদ সম্মেলনে হাসান আল মামুন আরো বলেন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর সরকারি চাকরিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারি চাকরিতে বিশেষ নিয়োগ ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না।

নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রিলিমিনারী, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল নম্বরসহ প্রকাশের জোর দাবি জানান হাসান আল মামুন।

একই সঙ্গে ছাত্রসমাজের নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক যেসকল মামলা দায়ের করা হয়েছে তা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর বর্বর হামলাকারীদের বিচার ও শাস্তি দিতে হবে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো চাকরি প্রত্যাশীরা। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে। এরপর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছে।

যমুনা অনলাইন: এফএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply