সিরিজের তৃতীয় শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। নির্ধারিত ম্যাচে টাই, সুপার ওভারও টাই, পরে আবার হলো সুপার ওভার। যেখানে আফগানিস্তানকে ১০ রানে হারিয়েছে ভারত। তবে অবিশ্বাস্য এই ম্যাচে বিতর্ক জুড়ে দিয়েছে রোহিত শর্মার ব্যাটিং।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেঙ্গালুরুতে আগে ব্যাট করে ২১২ রান তোলে ভারত। শেষ ওভারে ১৮ রান নিয়ে ম্যাচটি টাই করে ফেলে আফগানরা। এরপর সুপার ওভারে ১৬ রান করে আফগানরা। রোহিত শর্মা দুই ছক্কা মারলেও ১৬ রানে আটকে যায় ভারত। এর মধ্যে শেষ বলে জয়ের জন্য ২ রান দরকার ছিল ভারতের। রোহিত ওই সময় ক্রিজে ছেড়ে উঠে যান এবং রিংকু সিংকে ব্যাটিংয়ে পাঠান।
দ্বিতীয় সুপার ওভারে আবার ক্রিজে এসে রোহিত এক চার ও ছক্কা মারার পর আউট হন। আফগানরা ১২ রানের লক্ষ্যে নেমে তিন বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি হেরে যায়।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম সুপার ওভারে আউট হওয়া ব্যাটার পরের সুপার ওভারে ব্যাটিংয়ে নামতে পারবেন না। এখন রোহিত প্রথম সুপার ওভারে রিটায়ার্ড হার্ট নাকি রিটায়ার্ড আউট ছিলেন সেটাই প্রশ্ন? ম্যাচ অফিসিয়ালরা কিছুই পরিষ্কার করেননি।
আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, কোনো ব্যাটারকে রিটায়ার্ড হার্ট হতে হলে ইনজুরি বা অনিবার্য কারণ দেখাতে হয়। রোহিতের এমন কিছুই ছিল না। তিনি স্বেচ্ছায়ই মাঠ থেকে উঠে যান। নিয়ম মতে, তিনি রিটায়ার্ড আউট। কিন্তু আম্পায়রের ভুলে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে যান ভারতীয় অধিনায়ক। ফরিদ আহমেদের ওভারে এক ছক্কা ও এক চার মেরে ভারতকে এনে দেন ১১ রানের সংগ্রহ। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানিস্তান।
ম্যাচশেষে রোহিতের প্রসঙ্গে আফগান কোচ জনাথন ট্রট বলেন, আমার কোনো ধারণা নেই। এর আগে কি কখনো দুটি সুপার ওভার হয়েছে? বলতে চাচ্ছি, এটা নতুন কিছু। আমি যেটা বলার চেষ্টা করছি, আমরা নিয়মগুলোকে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করছি, নীতিমালাকে পরীক্ষা করছি।
রোহিত যে রিটায়ার্ড আউট ছিলেন সেটা পরিষ্কার করেন রাহুল দ্রাবিড়ই। ভারতের হেড কোচ বলেন, নিজেকে ওই সময়ে আউট করা অশ্বিন পর্যায়ের চিন্তাভাবনা। ২০২২ আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে খেলার সময়ে রিটায়ার্ড আউট হয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
/আরআইএম
Leave a reply