দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন খুব যে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে তা নয় বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। কারণ হিসেবে বললেন, একটি বড় অংশ নির্বাচনকে শুধু বর্জনই করেননি, প্রতিরোধেরও ঘোষণা দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। চব্বিশের ভোট আয়োজন সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় এই অনুষ্ঠানে কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মীরা একে অপরকে ধন্যবাদ জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোটরদেরকেও ধন্যবাদ জানায় কমিশন।
সিইসি বলেন, ইসি কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, রাজনীতিবিদদের যদি ইসিতে আস্থা না থাকে, তাহলে ইসির গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। আমরা হয়তো নৈতিক অবস্থান থেকে অনুরোধ করতে পারি, সঙ্কট নিরসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।
তিনি আরও বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাতে সরকারের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেনি ইসি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অবশ্যই ছিল, তবে নির্বাচন থামিয়ে রাখাও সম্ভব ছিল না।
নির্বাচন নিয়ে পাঁচ বছর পরপর সংকট সৃষ্টি হলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ভোটকে গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হয়েছে। সুনাম আর অপবাদ দুটোই বিবেচনায় নিতে হবে। তবে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচনের মতো এতো বড় কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করা সম্ভব হতো না। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে পারলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তা বড় ভূমিকা পালন করে।
/এমএইচ/এমএন
Leave a reply