গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া বিল ছাড়িয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা, আদায়ে হিমশিম খাচ্ছে মন্ত্রণালয়

|

গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া বিল ছাড়িয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা। বিপুল অর্থ আদায়ে হিমশিম খাচ্ছে মন্ত্রণালয়। ২৩ হাজার কোটি টাকাই গ্যাসের আর বিদ্যুতের বাকি দু’হাজার কোটি টাকার বেশি। সংযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকি দিয়েও পাওনা টাকা আদায় করা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে হার্ডলাইনে যেতে চায় মন্ত্রণালয়। এদিকে, ‘স্বার্থান্বেষী মহল’ বিল আদায়ে আন্তরিক না, এমন অভিযোগ নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পিডিবি উৎপাদকের কাছ থেকে কিনে বিতরণকারী কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। পেট্রোবাংলার কাছ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় গ্যাসও কেনে পিডিবি। সেই গ্যাস বিলের বকেয়া ছাড়িয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা। আবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান বিসিআইসির কাছে পাওনা দু হাজার কোটি টাকা। হিসেব বলছে, পেট্রোবাংলার ছয় কোম্পানির বকেয়া পড়ে আছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে তিতাসের ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর জালালাবাদ আদায় করতে পারেনি ৪ হাজার কোটি টাকা।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা বকেয়া পরিশোধ করবো। পাওয়ার প্ল্যান্ট মালিকদেরও বিল বাকি। যেহেতু নিজেদের মধ্যে। তাই সমস্যা হবে না। কিন্তু বাইরে যে বিল পড়ে আছে, এটা নিয়ে আমরা বেশ শঙ্কিত।

বিদ্যুতের বিলও বাকি অনেক। খোদ পিডিবির বকেয়া ৫২৫ কোটি আর পল্লী বিদ্যুতের ৬২৮ কোটিসহ গেল বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বাকি বিল দু’হাজার কোটি টাকার ওপরে। বিপুল পরিমাণ এই বকেয়া উদ্ধারে কী করছে মন্ত্রণালয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন লাইন কেটে দেয়ার জন্য। আমরা এখন অ্যাকশনে যাবো। ইতোমধ্যে নাম সহকারে আমি তালিকা চেয়েছি। তাদের লিস্ট নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব।

বাকি আদায়ে কোম্পানিগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন, ক্যাব। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যও প্রতিষ্ঠানগুলো দেয় না বলে অভিযোগ তাদের। বিষয়টি নিয়ে যেতে চায় আদালতে। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, সরকারের সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে। কারণ প্রতিষ্ঠান যদি আদায় করতে না চায়, বরং এটাকে লালন করে, তাহলে সরকার তো অসহায়। তাই একমাত্র আদালতকেই সমাধানের পথ হিসেবে দেখছেন বলেও জানান তিনি।

বকেয়া বিল আদায় না হলে শেষ পর্যন্ত জনগণই ভুক্তভোগী হয় বলেও মনে করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply