মুশফিকের ঝড়ো ইনিংসে বরিশালের বড় সংগ্রহ

|

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হয়েছে ফরচুন বরিশাল। আগে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান সংগ্রহ করেছে বরিশাল। ৩৯ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ১৮৮ রান।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ফরচুন বরিশালকে প্রথম ওভারেই চাপে ফেলেন নাহিদুল ইসলাম। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের ওভার থেকে বরিশালের দুই ওপেনার তুলতে পারেন কেবল মাত্র ১ রান। পরের দুই ওভারে তেমন সুবিধা করতে পারেননি ইব্রাহিম জাদরান এবং তামিম ইকবাল। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বরিশালের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ওশানে থমাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই পেসারের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৬ বলে ১১ রান করা ইব্রাহিম। 

এরপর সৌম্য সরকার ও তামিম মিলে খুলনা টাইগার্সের বোলার ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন। প্রথম চার ওভারে ২০ রান করলেও তামিম ও সৌম্যর ব্যাটে পাওয়ারপ্লেতে শেষ পর্যন্ত ১ ‍উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তোলে বরিশাল। যেখানে শেষ দুই ওভারে এসেছে ২৪ রান। সেটা অব্যাহত ছিল পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পরও। তবে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়তে হয়েছে সৌম্যকে।

ফাহিম আশরাফের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করে রান নিতে চেয়েছিলেন তিনি। নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা তামিম সেভাবে সাড়া না দিলেও উইকেটের মাঝে চলে এসেছিলেন সৌম্য। তামিম না আসায় আবারও স্ট্রাইক প্রান্তে ফিরে যান বাঁহাতি এই ব্যাটার। ততক্ষণে অবশ্য দারুণ ফিল্ডিংয়ে সরাসরি থ্রো করে স্টাম্প ভেঙে দেন হাবিবুর রহমান সোহান। তাতে করে সৌম্যকে ফিরতে হয় ১০ বলে ২২ রান করে।

এরপর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন তামিম। এই জুটিতে ১২ ওভারেই দলটির সংগ্রহ একশো ছাড়ায়। ৫০ ছাড়ানো এই দু’জনের জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে হাঁটু গেঁড়ে স্লগ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে হাবিবুর রহমান সোহানকে ক্যাচ দেন ৩৩ বলে ৪০ রান করা তামিম। তামিম ফিরলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক।

এই দু’জনের ৫৪ রানের জুটি থামিয়েছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। তরুণ এই পেসারকে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৯ বলে ২৭ রান করা মাহমুদউল্লাহ। এরপর মুশফিককে সঙ্গ দিতে আসেন শোয়েব মালিক। এই দুজনের ব্যাটেই খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বরিশাল। মুশফিক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৯ বলে ৬৮ রান নিয়ে। তার ইনিংস জুড়ে ছিল চারটি ছক্কা ও ৫টি চারের মার। ৬ বলে ৫ রান নিয়ে তার সঙ্গী ছিলেন মালিক।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply