আদালতের নির্দেশে বাবরির স্থানে মন্দির, মসজিদের খবর কী?

|

অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশেই রাম মন্দির নির্মাণ করেছে ভারত। সোমবার (২২ জানুয়ারি) ধুমধাম আয়োজনে সেই মন্দির ‍উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অথচ মন্দির তৈরির নির্দেশের সময় মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্যত্র জমি বরাদ্দও দিয়েছিল দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

যেটির সময় পেরিয়েছে ৪ বছর। এর মধ্যে রাম মন্দির উদ্বোধন হলেও এখনও মসজিদ তৈরির কাজ শুরুই হয়নি। এতে হতাশা রয়েছে স্থানীয়দের। তারা বলছেন, মন্দির তৈরি হচ্ছে, তাতে মুসলিমদের সমস্যা নেই। কিন্তু মসজিদের কাজে গতি নেই কেন? সেটিও জানতে চান তারা।

এ বিষয়ে স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, মসজিদ তৈরি হচ্ছে না কেন জানি না। জমি বরাদ্দের চার বছর হয়ে গেছে। তবে দেখতেই পাচ্ছেন কোনো নির্মাণকাজের কোনো চিহ্নই নেই। মন্দির তৈরি হচ্ছে তাতে মুসলিমদের কোনো সমস্যা নেই।

আরেক মুসলিম বাসিন্দা বলেন, সরাসরি বললে- এই সরকার রাম মন্দিরের বিষয়েই নজর ও গুরুত্ব দিচ্ছে। আর নির্বাচন যেহেতু কাছাকাছি সরকার ভোট পাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। সেজন্য মসজিদ তৈরির বিষয়টি উপেক্ষিতই থেকে গেছে। আমরা জানতে চাই কবে এবং কীভাবে শুরু হবে এ কাজ।

মসজিদ তৈরির জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। আর প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ)।

ছবি: পুরনো একটি দরগার দেয়ালে মসজিদ তৈরির ব্যানার ঝুলছে। এই প্রকল্পটির কাজ এগিয়েছে এ পর্যন্তই


আইআইসিএফ জানিয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে শুরু হতে পারে মসজিদ তৈরির কাজ। যেটি শেষ হতে সময় লাগতে পারে তিন থেকে চার বছর। তবে এই আশ্বাসে ভরসা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। তারা বলছেন, আগেও কয়েক দফায় পিছিয়েছে এমন সময়সীমা। তবে কোনো ধরণের বিবাদ বা উত্তেজনা চান না তারা।

আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ থেকে রাম মন্দির নির্মাণের আখ্যান

এ বিষয়ে অযোধ্যার স্থানীয় কাউন্সিলর হাজি আসাদ আহমেদ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট মন্দির মসজিদ ইস্যুতে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়ের প্রতি সবাই সম্মান দেখিয়েছি। কেউই ১৯৯২-এর মতো পরিস্থিতি চায় না। যা ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি করবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে হিন্দুত্ববাদীরা। মসজিদ ভাঙচুরকে ঘিরে ব্যাপক দাঙ্গা হয়। এতে প্রাণ হারান ২ হাজারের বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল মুসলিম।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply