পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে সরকার, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বললেন, সুপরিকল্পিত অপকৌশল গ্রহণ করে গোটা জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে চাচ্ছে সরকার। জাতিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে ভয়ঙ্কর অন্ধকারের দিকে। নতুন কারিকুলামে স্বাস্থ্যশিক্ষার নামে যৌনশিক্ষামূলক ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে কিশোর মনকে বিকৃত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধবিরোধী কারিকুলাম বাস্তবায়িত হলে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। বিজ্ঞান শিক্ষার মারাত্মক সংকোচন ঘটেছে এই শিক্ষাব্যবস্থায়।
নতুন কারিকুলামের সমালোচনা করে রিজভী আরও বলেন, এই কারিকুলামে অনলাইন ব্যবহার সীমিত করার পরিবর্তে ব্যাপক করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা অনলাইন জুয়ার দিকে ঝুঁকেছে। কিশোর গ্যাং-এ জড়াচ্ছে।
বক্তব্যে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়েও কথা বলেছেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি একদলীয় নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে বিরোধীদলের ওপর নজিরবিহীন দমনপীড়ন চালিয়েছে সরকার। দেশে-বিদেশে এই নির্বাচন হাস্যকর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এখন, ডামি সরকার অভিনন্দন ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেশে দ্বিতীয় বাকশাল চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর এই দিনেই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় বাকশাল চলছে দেশে। শুধু তামাশার নয়, পুতুল খেলার নির্বাচন হয়েছে দেশে।
কারাগারে থাকা দলের নেতাকর্মীদের বিষয়েও কথা বলেছেন রিজভী। বলেন, জাতিসংঘ আটক নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছে। একতরফা নির্বাচন করতে শীর্ষনেতাদের কারাগারে আটক করেছে। এ সময়, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে ভয়ঙ্কর বাণিজ্য করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
/এমএইচ
Leave a reply