মাহমুদউল্লাহ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘অটোমেটিক চয়েস’

|

ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকেই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কারণ হিসেবে ফর্ম, ফিটনেস, টিম কম্বিনেশন এসবকেই সামনে এনেছেন নির্বাচকরা। কিন্তু চলতি বিপিএলে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে রানের ফোয়ারা দেখে জুনে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য পারলে তাকে এখনই দলে নিয়ে নেয় বিসিবি। ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহঅটোমেটিক চয়েস। পারফরম্যান্সের কারণেই মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দ্বিতীয় কিছু চিন্তার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।

টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়লেও অবসরে যাননি মাহমুদউল্লাহ। ২০ ওভারের ক্রিকেটের মতো ওয়ানডে দল থেকেও জায়গা হারিয়েছিলেন ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। মাস চারেক দলের বাইরে থাকলেও বাকিদের ব্যর্থতায় ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেন তিনি। যেখানে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মারও ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ওয়ানডেতে দারুণ পারফরম্যান্সের পর উঁকি দেয় মাহমুদউল্লাহর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগও।

দেড় বছর পর তারকা এই ক্রিকেটার যে আবারও টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার খুব কাছে সেটার ইঙ্গিত মিলেছে জালাল ইউনুসের কথায়। বিপিএলের এবারের আসরে মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্সে খুশি তিনি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে দুইশর বেশি স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস আরও এগিয়ে দিয়েছে তাকে।

মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্স নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, কী বলব! রিয়াদের ব্রিলিয়ান্ট পারফরম্যান্স। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার যে স্ট্রাইক রেট ছিল, দ্যাট ওয়াজ ফ্যান্টাস্টিক। ওই স্ট্রাইক রেটেই তো সে টি-টোয়েন্টিতে অটোমেটিক্যালি চলে আসে। আর এখন তো প্রমাণ করছে। যে জায়গায় সে খেলছে, অটোমেটিক চয়েস।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ সর্বশেষ খেলেছেন ২০২১ সালে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। ৮ ম্যাচে করেছিলেন ১৬৯ রান, স্ট্রাইক রেট ১২০.৭১। এমনিতে এমন কিছু হয়তো মনে হবে না, তবে স্ট্রাইক রেট বিবেচনায় সে বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহই ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সেরা। ফরচুন বরিশালের হয়ে এবারের বিপিএলেও মাহমুদউল্লাহ দুর্দান্ত খেলছেন। পাঁচ ম্যাচের দুটিতে অপরাজিত থেকে রান করেছেন ১০৪, স্ট্রাইক রেট ১৬৫.০৭।

অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের জায়গা না পাওয়ার কোনো কারণও দেখেন না ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সে সুযোগ পাবে কি পাবে না, এই প্রশ্নটা উঠছে না। সে ভালো খেলছে, ভালো পারফর্ম করছে। আমি তো মনে করি, এমনিতেই তার দলে চলে আসা উচিত। দ্বিতীয় চিন্তার অবকাশ নেই।

এ ক্ষেত্রে মাহমুদউল্লাহর বয়সটাকেও কোনো বাধা মনে করছেন না ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বয়স কোনো ব্যাপার নয়। সে কতটা ফিট, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্ডারসন কিন্তু ৪১ বছর বয়সেও বোলিং করছে। কোনো খেলোয়াড় যদি নিজেকে ফিট রাখে, সে খেলা চালিয়ে যেতে পারে। যদি পারফর্ম করে, তাহলে তো তাকে দলে রাখতে অসুবিধা নেই। সে পারফর্ম করছে। বোলিং, ফিল্ডিংয়ে তৎপর। তাহলে কেন নয়?

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply