জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে বেঁধে রেখে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাভার থানা এলাকা থেকে মূল হোতাকে আটক করা হয়। বাকি তিন অভিযুক্তকে আটক করা হয় ক্যাম্পাস থেকেই।
মূল অভিযুক্তের নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। তবে ঘটনার পরেই তাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
মোস্তাফিজ ছাড়া বাকি আটককৃতরা হলেন– সাব্বির হাসান সাগর, সাগর সিদ্দিকী ও হাসানুজ্জামান। এরাও জাবির বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার এএসপি কাফী। অভিযুক্ত মূল হোতাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডির সহযোগীতায় তাদেরকে আটক করা হয় বলেও জানায় পুলিশ।
এর আগে, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে জঙ্গলে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ঐ দম্পতিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে আনে মামুন। এক পর্যায়ে কৌশলে ভুক্তভোগীর স্বামীকে মীর মশাররফ হোসেন হলে A ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে।
পরে ভুক্তভোগীকে স্বামীর কাছে নেয়ার কথা বলে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
এ ঘটনা জানাজানির পর শিক্ষার্থীরা মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ দিকে হল থেকে পালিয়ে যেতে মোস্তাফিজুরকে সহযোগিতা করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাগর সিদ্দিকী ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাব্বির, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। তারাও মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
/এমএইচ
Leave a reply