টি-টোয়েন্টি মানেই হচ্ছে উত্তেজনা, চার ছক্কার ফুলঝুরি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সাথে যেভাবে পরিচিত বিশ্ব তারই দেখা মিলছে না এবারের বিপিএলে। আসর শুরুর আগে উইকেট নিয়ে ইতিবাচক ধারণা দিলেও পাওয়া যায়নি আশানুরূপ ফল। ব্যতিক্রম হয়নি সিলেটেও। হয়নি কোন দুইশো রানের স্কোরও।
বিপিএল যখন আবারো ফিরছে মিরপুরে, তখন জেগেছে পুরনো শঙ্কা? তবে কি ফিরছে আরো একটি লো স্কোরিং পর্ব? যদিও উইকেট নয় ব্যাটারদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দূর্দান্ত ঢাকার হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, অবশ্যই ভাবনার বিষয়। কেননা ওদের রানে থাকাটা খুবই জরুরি। তবে আমি মনে করি, ক্লাস ইজ পারমানেন্ট। যারা ফর্মে নেই, দেখুন ফর্মে অনেক সময় থাকা হয় না। তবে আমি মনে করি এখান থেকে রানে ফেরাটা খুবই জরুরি। খেলা ঢাকায় ফিরেছে। ঢাকায় খুবই রৌদ্রজ্জ্বল পরিবেশ আছে, উইকেট ভাল হবে। যারা রান পাচ্ছে না তারা রানে ফিরবে।
তবে পিচ কিউরেটরদের দোষ দিতে নারাজ সুজন। কারণ আবহাওয়ার একটা প্রভাব পড়ে উইকেটের উপর। সেটা মানিয়ে নিয়েই খেলার কথা বললেন তিনি। সুজন বলেন, বিদেশি ক্রিকেটাররা তো এই কন্ডিশনে নিয়মিত খেলে না। ওরা তো করে দেখাচ্ছে। আমাদের স্থানীয় ছেলেরা বা দেশের ব্যাটাররা পারবে না, এটা আমাকে মাঝেমধ্যে চিন্তায় ফেলে। আসলে খেলার বোধ বা সবসময় যেটা বলি, ‘গেম সেন্স’… আমরা একই গতিতে ব্যাট করতে থাকি, যেটা কোনোদিনই হওয়া উচিত নয়। কোনোদিন হয়তো ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করবেন, কোনোদিন ২০০ হতে পারে, আবার কোনোদিন প্রাথমিকভাবে ৯০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করতে হবে। সেরকম চিন্তা বা মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তবে টুর্নামেন্টের উইকেট নিয়ে সমালোচনা করছেন খোদ ক্রিকেটাররাই। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিদেশি ক্রিকেটার সামিত প্যাটেল তো প্রকাশ্যেই করেছেন সমালোচনা। সামিত প্যাটেল বলেন, এই কন্ডিশন ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন। আমি জানি আমরা যেই ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছি তা সঠিক নয়। এমন কন্ডিশনে বা পিচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উপযোগী নয়। যদি আপনি চার-ছক্কা দেখতে চান তাহলে এভাবে হবে না। এটা বিপিএলের জন্য ভালো নয়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিপিএল প্রস্তুতির মঞ্চ ছিল দেশী ব্যাটারদের জন্য। যেখানে শান্ত-হৃদয়-লিটনদের ব্যর্থতার সাথে রান করার যুদ্ধটা কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য।
/আরআইএম
Leave a reply